রোগীরা যেন দেশেই চিকিৎসা পায়: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২১, ২১:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশের রোগীরা যাতে দেশেই চিকিৎসেবা পায় এবং রোগীদেরকে যাতে দেশের বাইরে যেতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

 

বিএসএমএমইউর প্রথম উপাচার্য এম এ কাদেরীর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতির তিনি একথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

 

মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গুণী শিক্ষক, সৎ, নিবেদিত প্রাণ, নীতি ও আদর্শবান মানুষ, দরদি চিকিৎসক হিসেবে বিএসএমএমইউর প্রথম উপাচার্য এম এ কাদেরী চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন অসম্ভব সাহসী। তিনি কোনোদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। দেশপ্রেমিক এম এ কাদেরীর নীতি ও আদর্শ কর্মজীবনে ধারণ করে বিএসএমএমইউর শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণা কার্যক্রমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

 

বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল-১ এর নির্মাণসহ অনান্য কার্যক্রম চলতি বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করার জোর প্রচেষ্টা চলছে। এই হাসপাতালটি চালু হলে বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের শুভ সূচনা হবে।

 

স্মরণসভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউর প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল ও সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার এবিএম আব্দুল হান্নান।

 

অধ্যাপক এম এ কাদেরীর স্মরণে বিএসএমএমইউর কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।

 

স্মরণসভায় অন্য বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এম এ কাদেরী শিক্ষক, চিকিৎসক, সংগঠক, প্রশাসক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে ছিলেন সফল মানুষ ও ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। কর্মজীবনে তাঁর নীতি ও আদর্শকে ধারণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানবজীবনকে সার্থক করা সম্ভব।

 

স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য মো. নজরুল ইসলাম, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. কামরুল হাসান খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য মোহাম্মদ সহিদুল্লা, সার্জারি অনুষদের ডিন ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন ডা. মোহাম্মদ হোসেন, সিন্ডিকেট সদস্য কাজী শহীদুল আলম, পরিচালক (পরিকল্পনা উন্নয়ন) ডা. আবু নাসার রিজভী, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, এম এ কাদেরীর ছেলে মাশুক আলী কাদেরী । স্মরণসভায় জুমে ও সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ অংশ নেন।

ঢাকাটাইমস/২৯ জুলাই/এএ