রেগে গিয়ে ১৭ কিমি হেঁটেছিলেন বিদ্যা, ঘটনা কী?
বলিউডের ‘ডার্টি পিকচার’ খ্যাত অভিনেত্রী বিদ্যা বালানকে সব সময় হাসি খুশি মুখেই দেখা গেছে সবখানে। তার রাগী বা গোমড়া মুখ আজও দেখা যায়নি। কিন্তু এই হাসি খুশি বিদ্যাই একবার এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে, সেটি সামলাতে না পেরে টানা কিমি রাস্তা হেঁটে বাসায় ফিরেছিলেন। সম্প্রতি বলিউড বাবলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সেখানে বিদ্যা জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভ থেকে বান্দ্রায় নিজের বাসা পর্যন্ত একটানা হেঁটেছিলেন তিনি। কিন্তু কারণ কী? কেন এত রাগ হয়েছিল তার? বিদ্যা জানান, ‘পরপর কয়েকটি ছবি থেকে বাদ পড়ায় মাথা এতটাই গরম হয়েছিল যে, নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। তাই কোনোকিছু না ভেবেই স্রেফ হাঁটা শুরু করেছিলাম।’
যদিও অভিনেত্রী জানিয়েছেন, জীবনে এমন কাণ্ড স্রেফ একবারই তিনি করেছেন। তাছাড়া বিদ্যার দাবি, টানা অনেকক্ষণ হাঁটলে চিন্তা ভাবনাগুলো বেশ সাফ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘ওই পরিস্থিতিতে সব চিন্তাভাবনা ধোঁয়াটে হয়ে গেয়েছিল। নিজেই বুঝতে পারছিলাম না কী করছি। আজ হয়তো শরীরচর্চার জন্য নিয়ম করে মেপে হাঁটাহাঁটি করি, কিন্তু সেদিন আর কিছু করার উপায় ছিল না আমার কাছে। কোনো কিছু না ভেবেই স্রেফ হাঁটা শুরু করেছিলাম। কোথায় যাচ্ছিলাম, কেন যাচ্ছি কিছুই তখন মাথায় ঢোকেনি।’
অবশ্য সে সময়ে পরিচালক-প্রযোজকদের থেকে বারবার ‘না’ শুনতে শুনতে মোটেই ভেঙে পড়েননি বিদ্যা। বরং প্রতিদিন নিজেকে তৈরি করার পাশাপাশি আশায় বুক বেঁধে রেখেছিলেন। তবে এমনও হয়েছিল, কিছু প্রযোজক,পরিচালকের থেকে তার লুক-এর ব্যাপারে এতটাই কুরুচিপূর্ণ কথা শুনেছিলেন যে অনেক মাস আয়নায় নিজেকে দেখতেও নাকি তার ইচ্ছে করত না।
বিদ্যার কথায়, ‘এতকিছুর পরেও আশা হারাইনি। প্রতিদিন নিজেকেই উদ্বুদ্ধ করতাম। জানতাম ঠিক একটা না একটা সুযোগ আসবে। ২০০২-০৩ সালে দক্ষিণী ছবির সব পরিচালক, প্রযোজকদের অফিস থেকে প্রতিদিন খালি হাতে বাড়ি ফিরে চোখের জল ফেলতাম। তবে পরদিন ভোরে আবার চেষ্টায় নেমে পড়তাম। অবিরাম চেষ্টা করে যাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো উপায় ছিল না।’
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে বাংলা ছবি ‘ভালো থেকো’-তে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন বলিউডের বিদ্যা বালান। এরপর ২০০৫ সালে ‘পরিণীতা’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেন অভিনেত্রী।
ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/এএইচ