হলুদ তরমুজে জিয়ারুলের সোনালী দিনের স্বপ্ন

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২১, ১৫:১২

নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ নওদাপাড়ার যুবক জিয়ারুল হক। দীর্ঘদিন বেকার জীবন কাটিয়ে বছর দুয়েক আগে বাড়ি লাগোয়া এক টুকরো জমিতে শুরু করেন সবজি চাষ। কিন্তু গেল বছর বেগুন চাষ করে লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। পরে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে শুরু করেন হলুদ ও ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ। আর তাতেই ম্যাজিকের মতো বদলে যেতে শুরু করে জিয়ারুল হকের ভাগ্য। এই বর্ষা মৌসুমেও ঘরে আসছে তরমুজ বিক্রির কড়কড়ে টাকা।

সম্প্রতি উপজেলা সুকাশ ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জিয়ারুল হক বাড়ির সামনে ১২শতক জায়গায় গড়ে তুলেছেন তরমুজ খেত। মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ হয়েছে। মাচায় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ও কালো হাজারো তরমুজ ঝুলছে। অনেকেই তরমুজ দেখতে ভিড় করছেন।

জিয়ারুল জানান, এই তরমুজের উপরিভাগ হলুদ হলেও কাটলে ভেতরে টকটকে লাল এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু। তিনি বলেন, গত বছর এই জায়গায় বেগুন চাষাবাদ করেছিলাম। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে তরমুজ চাষ করেছি। হাতেনাতেই তার ফলও পাচ্ছি।

এই তরমুজ চাষি জানান, গত ৬ জুন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করেন। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তরমুজ পাকতে শুরু করেছে। পাকার আগেই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তা কিনতে দরদাম করছেন। প্রতি কেজি ৭০টাকা দাম উঠেছে। তিনি জানান, এই ১২ শতাংশ জমি থেকে কয়েক’শ কেজি তরমুজের ফলন আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকের একটি লাভজনক ব্যবসা। অপ্রচলিত ফল বলেই এর চাহিদা বেশি। জিয়ারুলের মতো অনেকেই এই তরমুজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পরামর্শ নিতে আসছেন। এই উপজেলায় প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে চাষের পর অনেকেই এখন কৃষি অফিসে পরামর্শ নিতে আসছেন। কম খরচে অধিক লাভের জন্য যে কেউই এই তরমুজ চাষ করতে পারেন।

(ঢাকাটাইম/৩০ জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :