পাওনা টাকা চাওয়ায় ঝালমুড়ি বিক্রেতার কলার ধরলেন ছাত্রলীগ নেতা

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৫
ফাইল ছবি

পাওনা টাকা চাওয়ায় বাবার বয়সী এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম রবির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রবিউল ইসলাম রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, টিএসসির জনতা ব্যাংক শাখার সামনে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে ঝালমুড়ি দিতে বলে রবিউল ইসলাম রবি তার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় বসেন। অনেকক্ষণ হলেও ঝালমুড়ি না পেয়ে রবিউল ইসলাম ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে দেরির কারণ জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পূর্বের পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় ঝালমুড়ি বিক্রেতার শার্টের কলার ধরে তাকে মারধর করার উপক্রম হন রবিউল ইসলাম রবি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আশেপাশের বেশ কয়েকজন এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিবৃত্ত করতে এগিয়ে তার পরিচয় জানতে চান। নিজের নাম না বলে নিজেকে ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, এটা অন্যদের দেখার বিষয় না।

ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতা জানান, রবিউল ইসলাম নামে ছাত্রলীগের এই নেতা পূর্বেও বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে টাকা দেননি। গতকাল রাতে রবিউল ইসলাম পুনরায় ঝালমুড়ি কিনতে চাইলে আগের পাওনা টাকা দিতে বলেন। টাকা চাওয়ায় রবিউল ইসলাম রাগান্বিত হয়ে শার্টের কলার ধরে তাকে মারধরের উপক্রম করছিলেন।

শুধু ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাই নয়, টিএসসির বিভিন্ন চায়ের দোকানে চা খেয়ে টাকা না দেওয়া, টিএসসি এলাকায় আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে কয়েকটা ভ্রাম্যমাণ দোকান চালান বলেও অভিযোগ রয়েছে রবির বিরুদ্ধে।

এদিকে ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা স্বীকার করেছেন রবি। তবে, অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেন।

রবিউল ইসলাম রবি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি রাগের মাথায় ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে দুটা ধাক্কা দিয়েছিলাম। আমি বুঝতে পারছি আমার ভুল হয়েছে। আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি কোনো দোকানে খাইলে বিল পরিশোধ করে থাকি। তার কাছে আমার কোনো বাকি ছিলো না। হয়তো আমার কোনো জুনিয়র আমার নাম করে ঝালমুড়ি খেয়ে গেছে যে বিষয়টা আমি জানি না।’

তিনি বলেন, হুট করে সবার সামনে আমাকে পাওনা টাকার ব্যাপারে এভাবে বলবে এটা ভাবতেও পারিনি। রাজনৈতিক পরিচয় বাদেও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হিসেবে আমার কাছে বিষয়টি সিনক্রিয়েটের মনে হয়েছে তাই রাগান্বিত হয়ে গেছিলাম। ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে আমি চিনি। পরে আমি বিষয়টার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।

(ঢাকাটাইমস/৩০ জুলাই/আরএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :