খাগড়াছড়ির পর্যটন এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীদের কঠিন সময় যাচ্ছে

মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি
 | প্রকাশিত : ৩০ জুলাই ২০২১, ১৭:০০

দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় দেশের অন্যান্য জায়গার মতো খাগড়াছড়ির পর্যটনশিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন এসব পর্যটন এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীদের। গত চার মাসে তাদের অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল আলম।

প্রতিবছর ঈদ-পরবর্তী সময়ে যেখানে পর্যটকদের ভিড় থাকলেও গত দুই ঈদে করোনা রোধে লকডাউনের কারণে বন্ধ ছিল সব ধরনের পর্যটনকেন্দ্র। ফলে পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা প্রতিনিয়ত গুনছেন লোকসান।

খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটকে ঠাসা থাকলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটনকেন্দ্র গুলোয় এখন সুনসান নীবরতা বিরাজ করছে।

সাজেক বিলাশ রিসোর্টের মালিক জ্ঞান জ্যোতি চাকমা বলেন, করোনার কারণে গত বছর পাঁচ মাস বন্ধ ছিল রিসোর্ট। এ বছরও চার মাস বন্ধ। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার সুযোগ না পেতেই আবার চলতি লকডাউনে আমাদের ক্ষতি পাহাড় সমান। ক্ষতি পোষাতে না পেরে কর্মচারীদের ছাঁটাই করে দিয়েছি। কীভাবে এসব ক্ষতি পোষাবো, ভেবে আমরা শঙ্কিত।

এ জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে অন্তত ২০ হাজার মানুষ জড়িত। আর এখানে পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রায় এক হাজার ৪০০ শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে কাজ বন্ধ থাকায় অনেকেই পেশা বদল করলেও তেমন আয় করতে পারছেন না তারা। অনেকে কোনো কাজ না পেয়ে বেকার সময় পার করছেন, আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কষ্টে আছেন তারা। এদিকে বিনিয়োগ করা পুঁজি হারিয়ে অনেকে প্রায় নি:স্ব। নতুন কোনো খাতে বিনিয়োগ করার মতো সামর্থ্যও তাদের নেই।

গত বছরও করোনার কারণে পর্যটন ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এবছর টানা লকডাউনের কারণে ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়েছে। হোটেল-রিসোর্ট বন্ধ থাকলেও সম্পদ ও সরঞ্জাম নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হচ্ছে। এতে স্টাফদের নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :