ওজন কমাতে বিশেষ পদ্ধতিতে ভাত রান্না করে খান

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ০৯:৫৬ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১, ১২:০৮

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

শরীরের ওজন কমাতে অনেকেই প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরানো কিংবা ওজন কমানোর দিকে নজর দিলেই সবার আগে খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়ে ভাত। কিন্তু কিছুতেই ভাত খাওয়া ছাড়তে পারছেন না। ভাত খেলে মেদ জমার যে ধারণা রয়েছে সেটিও ঠিক নয়। ভাত যদি নিয়ম মেনে খাওয়া যায়, তাহলে তা থেকে শরীরে মেদ জমে না তেমন। যাদের ভাত ছাড়া চলে না, তাদের জন্য সুখবর। এই পছন্দের শস্যদানা এখন আরো স্বাস্থ্যকর উপায়ে খেতে পারবেন আপনি। হালের গবেষণা বলছে ভাত রান্নার বিশেষ পদ্ধতি মেনে চললে ভাতের ক্যালোরি অন্তত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে।

 

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার কলেজ অব কেমিকাল সায়েন্সেস এক দল গবেষক এই নতুন পদ্ধতি করেছেন। এই দলের প্রধান সুধীর এ জেমস জানিয়েছেন, বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে স্থূলতা বা ওবেসিটি জায়গা করে নিয়েছে। ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট যেখানে স্টার্চ রয়েছে, তার এক কাপে প্রায় ২৪০ ক্যালোরি থাকে। কিন্তু ভাত রান্না করার সময়ে যদি বিশেষ ভাবে গরম করা হয় এবং তারপর ঠান্ডা করা হয়, তা হলে ক্যালোরি কম হতে পারে।

 

পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের মধ্যে সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, গ্লুটেন ইত্যাদি ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। চর্বি থাকেই না প্রায়। বিশেষ করে ট্রান্স ফ্যাট, যা খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাটও থাকে না। বরং থাকে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট বা স্টার্চ, শরীরকে শক্তি জোগাতে যার বিরাট ভূমিকা। ফাইবারের উপস্থিতিও পেটের সমস্যা কমাতে, ওজন-সুগার-রক্তচাপ বশে রাখতে যার ভূমিকা আছে।

 

যেভাবে রান্না করবেন কম ক্যালোরির ভাত

 

ভাত রান্না করার সময়ে ফুটন্ত পানিতে খানিকটা নারিকেল তেল দিন। তারপর চাল ফেলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে রান্না করুন। ভাত রান্না হয়ে গেলে ফ্রিজে ১২ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। কেননা এটা  মাড়ের দ্রবণীয় অংশ এমাইলোজের হাইড্রোজেন বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তবে ভাতকে পুনরায় গরম করলে এর কোনো পরিবর্তন হবে না।

 

নারিকেল তেল যোগ করায় ভাতে কিন্তু অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হয় না। উল্টো ক্যালোরি অনেক কমে যায় নারকেল তেল যোগ করার ফলে। এভাবে রান্না করলে ভাতে স্টার্চের পরিমাণ অন্তত ১০ শতাংশ কমে যাবে। ক্যালোরি বেশি থাকে এই স্টার্চেই।

 

তবে এই ভাত বার বার গরম করে খেলে কাজ দেবে না জানালেন গবেষকরা।

 

গবেষণায় মোট ৩৮ রকমের চাল নেয়া হয়েছিল। গবেষকদের তরফে জানানো হয়েছে এর পর দেখা হবে কোন ধরনের চাল খেলে সবচেয়ে কম ক্যালোরি শরীরে যাবে।

 

এই পদ্ধতিতে ভাত রান্না করলে স্টার্চ বা কার্বোহাইড্রেট পরিপাক হয় না। এরফলে পরিপাকের সময় ভাত থেকে গ্লুকোজ কম প্রবাহিত হয় রক্তে। মানুষের শরীরের কাবোর্হাইড্রেট গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় তখন শেষ জ্বালানিটুকু পলিস্কায়ার্ড কাবোর্হাইড্রেট গ্লাইকোজেনে পরিণত হয়। এর ফলে যকৃত এবং পেশি গ্লাইকোজেনকে শক্তির জন্য সংরক্ষণ করে।এটি আবার প্রয়োজন হলে গ্লুকোজে চলে যেতে পারে। আসল বিষয় হলো,এটি বাড়তি গ্লুকোজকে চর্বিতে পরিণত করে না। ফলে শরীরের ওজন বাড়ে না।

 

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/আরজেড/এজেড