ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানালেন কারিনা কাপুরের ডায়েটিশিয়ান

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ১৩:১১ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১, ১৩:১৬

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে ফল খাওয়ার বিকল্প নেই। মেদ ঝরাতেও ফলের জুড়ি মেলা ভার। সঠিক নিয়ম মেনে ফল না খেলে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে। এতে কিন্তু ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে। দিনের মধ্যে কখন ফল খাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় এবং কখন মোটেই ফল খাওয়া উচিত নয়, এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কারিনা কাপুর খানের ডায়েটিশিয়ান ও নিজস্ব পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর শুধু করিনা কাপুরই নন, আলিয়া ভাট, ক্যাটরিনা-সহ বলিউডের সুপারস্টার নায়িকাদের অনেকেই রুজুতা দিওয়েকরের ডায়েট প্ল্যান মেনে চলেন।

 

কারিনা কাপুরের ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর সব সময়েই প্রাকৃতিক, দেশজ খাদ্যের হয়ে সওয়াল করেন৷ আর সেটাই করিনা মেনে চলেন অক্ষরে অক্ষরে৷

 

বলিউড সেলিব্রেটি ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যাতে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে ফল খেতে হয়, ফল খাওয়ার সঠিক উপায় কী?

 

সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর ফল খাওয়ার তিনটি নিয়ম জানিয়েছেন। তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন, যাতে তিনি ফল খাওয়ার তিনটি নিয়ম জানিয়েছেন। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি ফল খাওয়ার সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। আপনি যদি আপনার ডায়েটে ফল রেখেও কোনও সুবিধা পাচ্ছেন না, তবে আপনাকে অবশ্যই রুজুতা দিওয়েকরের ক্লিপটি দেখতে হবে।

 

কোনও ফল মিশিয়ে খাবেন না

 

রুজুতা দিওয়েকর তার ভিডিওতে বলেছেন, অনেকে এক সঙ্গে অনেক রকম ফল মিশিয়ে খান। যা একেবারেই সঠিক নয়। আপনি যদি কোনও ফল গ্রহণ করেন, তবে একটি ফলই খান, এর সঙ্গে অন্য কোনও ফল মিশিয়ে খাবেন না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আপেল খান তবে কেবল আপেলই খান এবং এতে কলা বা অন্য কোনও ফল অন্তর্ভুক্ত করবেন না।

 

তিনি আরও বলেছেন, বর্তমান যুগে ফ্রুট সালাদের প্রচুর প্রবণতা রয়েছে। যা দেখতে ও খেতে রাখলে দারুণ লাগে, কিন্তু এটি করার মাধ্যমে আপনি ফল থেকে কোনও পুষ্টি পাবেন না। ফল কখনও দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাবেন না।

 

ফল কখন খাওয়া উচিত

 

ফলে প্রচুর পরিমাণে ফিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং ফাইবার থাকে। তাই সকালে ফলের থেকে ভালো খাবার আর কী হতে পারে? ফল খাওয়ার সবচেয়ে উপযোগী সময় সকাল বেলা। সকালে ফল খেলে এর যাবতীয় গুণ সহজেই শরীরে শুষে যায়। মিড মর্নিং স্ন্যাক হিসেবেও ফল খাওয়া যেতে পারে। ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্য়ে অনেক সময় আমাদের ক্ষিদে পেয়ে যায়। এই সময় অন্য কিছু না খেয়ে ফল খেতে পারেন। ওয়ার্কআউটের আগে-পরেও ফল অত্যন্ত উপযোগী। ফল ওয়ার্কআউটের জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীরকে দেয়। ব্যায়ামের পরে শরীরে যে এনার্জির খামতি দেখা দেয়, তা পূরণ করতেও ফলের জুড়ি মেলা ভার।

 

ফলের রস নয়, সবসময় ফল চিবিয়ে খাবেন

 

ফল খাওয়ার তৃতীয় নিয়মে, রুজুতা দিওয়েকর জানিয়েছেন, ফল সবসময় ভালোভাবে চিবিয়ে খান, কখনই ফলের রস তৈরি করবেন না। ফলগুলো খেয়ে এবং সেগুলো খেয়ে আপনি তাদের সমস্ত সুবিধা নিতে সক্ষম হন। যাইহোক, বেশিরভাগ মানুষ ফ্রুট জুস পছন্দ করলেও তা পুষ্টিকর নয়।

 

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/আরজেড/এজেড)