কারখানা খোলার খবরে ট্রাকে করে ঢাকায় ছুটছে মানুষ

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ১৩:১৩ | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২১, ১৩:৫৭

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রবিবার থেকে শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এ খবরে কোরবানি ঈদে গ্রামে যাওয়া পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।

শনিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল, কড্ডার মোড়, পাঁচলিয়া, নলকা মোড় ও সয়দাবাদ থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে ঢাকায় ছুটতে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের। এই যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না। এছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে কয়েকগুণ ভাড়া।

ঢাকামুখী যাত্রী সবুজ শেখ বলেন, কোরবানির ঈদে বাড়ি এসেছিলাম, আগামীকাল আমাদের কারখানা খুলবে। গণপরিবহন বন্ধ। বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছি। যেভাবেই হোক আজই ঢাকা পৌঁছাতে হবে। এজন্য ভাড়াও বেশি দিতে হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ হারের কারণে কোরবানি ঈদের আগের লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি ছাড়া সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিল্প কারখানা চালু ছিল। সংক্রমণ না কমায় ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনে শিল্প কারখানা, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের অফিস আদালতও বন্ধ রাখা হয়, যা চলবে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে এতদিন শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে সরকার অনড় ছিল। কিন্তু তৈরি পোশাক শিল্পসহ সব ধরনের শিল্প কারখানা খুলে দিতে সরকারের উচ্চ মহলে বারবার অনুরোধ করছিলেন শিল্পমালিকরা। একই অনুরোধ জানিয়েছিল পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। এমন অবস্থার মধ্যে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খোলা রাখার অনুমোদন দেয় সরকার।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর ঈদে বাড়ি যাওয়া তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা ঢাকামুখী হতে শুরু করেছেন। সিরাজগঞ্জের সড়কে ট্রাকে করে ঢাকায় আসছেন এসব মানুষ।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান আলী বলেন, আমাদের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট রয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকে যাত্রী বহন করায় বেশ কয়েকটি ট্রাক আটক করা হয়েছে। সেই সাথেই নজরদারিতে রয়েছে প্রত্যেকটি সড়কে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/প্রতিনিধি/পিএল)