দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে: শিবলী রুবাইয়াত

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৬:১৮ | প্রকাশিত : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৫:৩২

করোনাকালেও বাংলাদেশ পুঁজিবাজার গত এক বছরে সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসে পুঁজিবাজার থেকে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারবাজারে টার্নওভার বাড়ছে। ফলে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

শুক্রবার লস অ্যাঞ্জেলসে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময় শনিবার, ৩১ জুলাই ভোর সাড়ে ৬টা) ইন্টারকন্টিনেন্টাল ডাউনটাউন হোটেলে শেয়ারবাজার বিষয়ক রোড শোর তৃতীয় পর্বের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উত্থানের খবর এশিয়ান ফ্রন্টিয়ার জার্নালে উঠে এসেছে। করোনাকালেও পুঁজিবাজারের দিন দিন টার্নওভার বাড়ছে, মার্কেট ক্যাপিটাল বাড়ছে, ইনডেক্স বাড়ছে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন জিডিপির ১২ শতাংশ।

তিনি বলেন, শুধু সেকেন্ডারি মার্কেটে নয়, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন নতুন পণ্য আসছে। বন্ড মার্কেট উন্নত হচ্ছে। বিশেষ করে ব্লু বন্ড, সুকুক বন্ড, পারপেচুয়াল বন্ড আছে শেয়ারবাজারে। তুলনামূলকভাবে এসব পণ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। কোম্পানিগুলো বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সফলতা দেখিয়েছে।

‘এছাড়া আমাদের পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাত দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। এসব কারণে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সম্ভাবনাময় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ অপেক্ষা করছে।’

অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ১০০ অর্থনৈতিক জোন রয়েছে। এগুলো খুবই ব্যবসা সহায়ক। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ব্যবসার প্লট প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া প্রস্তত রয়েছে জ্বালানি, গ্যাস এবং অবকাঠামো সুবিধা। সবকিছু প্রস্তুত শুধু একজন বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে এসে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব অথনৈতিক অঞ্চল খুবই আকর্ষণীয়। ফলে জাপানিজ বিনিয়োগকারীরা ম্যানুফ্যাক্টারিং প্ল্যান্ট করতে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন একটি বড় ধরনের বিনিয়োগের আকর্ষণীয় খাত। বাংলাদেশের কুয়াকাটা একটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল। যেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। এছাড়া কক্সবাজার বৃহত্তম সি বিচ, সিলেট, টাঙ্গুয়া হাওর, সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন জোন রয়েছে বাংলাদেশে। প্রাকৃতিক অনেক সুন্দর সুন্দর এলাকা রয়েছে। ফলে বড় ধরনের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে পর্যটন খাতে। এছাড়াও রয়েছে অ্যাভিয়েশন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ।

তিনি বলেন, আমেরিকা বিশ্বের অনেক বড় অর্থনীতির দেশ। এদেশের বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী বন্ধুরা আসুন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমরা চাই আপনারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। বাংলাদেশের সক্ষমতা আছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/এসআই/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

পুঁজিবাজার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা