নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত বাংলাদেশকে রক্ষায় কাজ করছি: নৌপ্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

নদী ও সমুদ্রবেষ্টিত বাংলাদেশকে রক্ষা করতে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেছেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশকে রক্ষা করে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০ বছরের ডেল্টা প্লান ঘোষণা করেছেন। নৌপথগুলো খননের মাধ্যমে নদীগুলোকে রক্ষা করা হবে। দেশ পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট অনুসরণ করে সফলকাম হব। নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত বাংলাদেশকে রক্ষা করতে কাজ করছি। এখানে সীমাবদ্ধতা আছে, চ্যালেঞ্জ আছে। সমস্ত চ্যালেঞ্জ ওভারকাম করে এগিয়ে যাব।

শনিবার ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সাস্টেইনএবল রিভার ড্রেজিং: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক ওয়েবিনারে (জুম সভা) প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ডিসিসিআই’র সভাপতি রিজওয়ান রহমানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক, ডিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি এন কে এ মোবিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুল আক্তার, খায়রুল মজিদ মনিরুল। প্রখ্যাত পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সাতটি ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর সে ধরনের কার্যক্রম চোখে পড়েনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দুটি, এরপর ১০টি এবং ২০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছেন। আরও ৩৫ টি ড্রেজার সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, সরকার ১০ হাজার কিলোমটিার নৌপথ খননের লক্ষ্যে কাজ করছে; ইতিমধ্যে দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বেড়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও স্থলবন্দরগুলোর সক্ষমতা বেড়েছে। পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/টিএ/জেবি)