যারা অন্ধ তারাই উন্নয়ন দেখতে পান না: নানক

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২১, ১৯:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করলেও বিএনপি নেতারা তা দেখতে পান না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। যারা অন্ধ তারাই সরকারের উন্নয়ন দেখতে পান না বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে একটি অনুষ্ঠানে নানক এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রামে করোনা রোগী ও মরদেহ পরিবহনের জন্য গাউসিয়া কমিটির কাছে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নানক। নিজ বাসা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আজকে বিএনপি নেতারা বড় বড় কথা বলেন, তারা দেশে একটা লুটের রামরাজ্য কায়েম করেছিল। সেই লুটেরারা বাংলাদেশকে সুখি- সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে পাবে না। তাদের অন্ধ চোখে তারা দেখতে পায় না। তারা লুটপাট করে দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গিয়েছিল। সেই দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। মির্জা ফখরুলরা বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন চোখে দেখতে পান না।’
নানক বলেন, ‘আজকে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্ত। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, বাংলাদেশও করোনা আক্রমণ করছে। আল্লাহ তায়ালার অসীম কৃপায়, দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জীবন ও জীবিকা উভয়টার স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে পেরেছে। সমস্ত উন্নত দেশ যখন মুখ থুবড়ে পড়েছে, স্বাস্থ্যখাত যখন হতবিহ্বল হয়ে পড়েছে, সেই মুহূর্তে বাংলাদেশ জীবন ও জীবিকা উভয়ই স্থিতিশীল রেখে দেশ পরিচালনা করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য একটি স্বাভাবিক পর্যায়ে লকডাউন দিয়ে চলছে দেশ।’
নানাক আরও বলেন, ‘গত বছরের মার্চের মাঝামাঝিতে যখন বাংলাদেশ করোনা আঘাত হানে তখন থেকে আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশের দুস্থ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতেও আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য পৌঁছে দিয়েছে। এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেণি, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোকজন রয়েছেন, যারা লাইনে এসে হাত পাততে পারে না, মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলেন রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। এই দুঃসাধ্য কাজও আওয়ামী লীগ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছে।’
দলের সহযোগী সংগঠনের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করে যুবলীগের সাবেক এই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘গত বছর যখন ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল, লকডাউনে সারাদেশে যখন স্থবির হয়ে গিয়েছিল যখন কৃষক ধান কাটার কোনো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না, তখন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা এই দল ও এই দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাঠ থেকে ধান কেটে কৃষকের গোলায় পৌঁছে দিতে হবে। এই কাজেও বাংলাদেশ কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ দায়িত্ব পালন করেছে। করোনার ছোবলে মায়ের মৃত্যুতে সন্তান যখন কাছে যায় না, পিতার মৃত্যুতে সন্তান যখন কাছে যায় না তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেই মরদেহ দাফন-কাফনের দায়িত্ব পালন করেছে।’
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পরিচালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।
(ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/টিএ/জেবি)