আরো ভয়ানক ধরন তৈরি করতে পারে করোনা: হু

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২১, ০৮:৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মাস দুয়েক আগে আশার আলো দেখিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। বলেছিলেন, করোনার ডেল্টা ধরনই বিপদের শেষ। এর পরে ক্ষমতা কমতে শুরু করবে ভাইরাসের। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তাদের দাবি, ডেল্টা আসলে বিশ্বের উদ্দেশে এক ‘সতর্কবার্তা’। এর পরে মিউটেশন ঘটিয়ে আরো ভয়ানক ধরন তৈরি করতে পারে করোনাভাইরাস।

১৩২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে এর জেরে। পশ্চিম এশিয়ায় চতুর্থ ঢেউ আছড়ে পড়ার অন্যতম কারণ ডেল্টা। চীনে নতুন করে সংক্রমণ বেড়েছে। আরো দুটি প্রদেশ থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর মিলেছে।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর ব্রিসবেন ও কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের একাংশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী স্টিভেন মাইলস জানিয়েছেন, তিন দিনের জন্য সম্পূর্ণ গৃহবন্দি থাকতে হবে লাখ লাখ বাসিন্দাকে। সবই ডেল্টার জেরে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, চিকেন পক্সের মতো ছোঁয়াচে ডেল্টা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রক বিভাগের প্রধান মাইকেল রায়ান বলেন, ‘ডেল্টা হচ্ছে আসলে একটা সতর্কবার্তা। সকলকে সতর্ক করে দেওয়া যে, ভাইরাস তার রূপ বদলাচ্ছে। এবং এটাও মনে করিয়ে দেওয়া যে আরো ভয়ানক ভ্যারিয়ান্ট তৈরি হতে পারে।’

হু প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত চারটি ভ্যারিয়ান্ট অব কনসার্ন তৈরি হয়েছে। ভাইরাসটি যত ছড়াবে এরকম উদ্বেগ করার মতো ভ্যারিয়ান্ট আরো তৈরি হবে।’

গোটা বিশ্বকে ৬টি অঞ্চলে ভাগ করে পর্যালোচনা চালায় হু। এর মধ্যে পাঁচটিতেই গত এক মাসে সংক্রমণ বেড়েছে ৮০ শতাংশ। রায়ানের বক্তব্য, ডেল্টার প্রকোপে বেশ নড়বড়ে অবস্থা হয়েছে কিছু দেশের। কিন্তু তাতেও তারা যথেষ্ট সতর্ক করতে পারেনি বাসিন্দাদের। সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নিতে এখনো ব্যর্থ বেশ কিছু দেশ। পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মানা হচ্ছে না। লোকজন মাস্ক পরছেন না। স্যানটাইজার ব্যবহার, হাত পরিষ্কার রাখা, হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা কম এ রকম বদ্ধ ঘরে বেশি ক্ষণ না থাকা, ভিড়-জটলা এড়িয়ে যাওয়া- এর কোনোটির উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে না।

রায়ানের কথায়, ‘টিকাকরণে কাজ দিচ্ছে। টিকা নেওয়া থাকলে বাড়াবাড়ি কম হচ্ছে। আমাদের যে গেম প্ল্যান রয়েছে সেটা কাজ দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু সেটা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। বরং আগের থেকে আরো গতি বাড়াতে হবে টিকাকরণের।’

(ঢাকাটাইমস/১ আগস্ট/এসইউএল)