করোনা পরীক্ষা ৯টার পর, ভোর থেকেই লম্বা লাইন!

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২১, ১০:৫৩ | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২১, ১১:৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দিন দিন দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু। ফলে শুরুতে পরীক্ষা করতে কিছুটা অনীহা থাকলেও এখন করোনার নমুনা দিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার উপসর্গ থাকা মানুষের ভিড়। অনেকে ভোর থেকে এসে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কারণ পরে এলে পরীক্ষা করার সুযোগ নাও পেতে পারেন এ আশঙ্কা তাদের।

রবিবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল মেডিকেলে সরেজমিন দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক মানুষ নমুনা পরীক্ষার সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করছেন। অবশ্য তখনও বন্ধ নমুনা পরীক্ষার বুথ। 

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, ৮টার পর থেকে শুরু হয় ফরম দেয়া। নমুনা পরীক্ষা শুরু হয় ৯টার পর।

এত আগে আসার কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে সুদীপ কুমার নামের একজন ঢাকাটাইমসকে বলেন, শনিবার এসে লোকের ভিড়ে ফরম পাইনি। তাই মিস যাতে না হয় সেজন্য আগে আসলাম। 

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এমন ভিড় শুধু ন্যাশনাল মেডিকেলেই নয়, সব কেন্দ্রেই নমুনা পরীক্ষা করতে আসা মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। চাপ সামাল দিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের। 

ব্র্যাকের নমুনা পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা একজন জানান, প্রতিদিন এই কেন্দ্রে ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাই চাইলেও বেশি মানুষকে ফরম দেয়া সম্ভব হয় না। 

এই কেন্দ্রে দেখা গেছে, নমুনা পরীক্ষা করতে আসা ব্যক্তিদের সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য শুরুতে লাল কালি দিয়ে হাতে নম্বর টুকে দেয়া হচ্ছে। পরে সাড়ে ৮টার দিকে শুরু হয় ফরম দেয়া। কিন্তু দেখা যায় সাড়ে ৯টা পর্যন্তও শুরু হয়নি নমুনা নেয়া।

এদিকে নমুনা দিতে আসা মানুষের ভিড়ে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা দেখা যায়নি। সামাজিক দূরত্ব নেই বললেই চলে। ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে এসব পরীক্ষা কেন্দ্রে। 

সবশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে গত এক দিনে (শনিবার) মহামারি করোনাভাইরাসে ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ৬৮৫ জনে। এ সময়ে শনাক্ত হন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জন।

আর রবিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যমতে, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৮৫ লাখ ৪৭ হাজার ২৬ জনে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯২ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ কোটি ৯২ লাখ ৮৫ হাজার ১১৮ জন।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/বিইউ/কেআর)