ঢাকার বাসে যাত্রী খরা

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২১, ১১:০৯ | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২১, ১২:১১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সরকারের নির্দেশে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে অল্প সময়ের জন্য চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। অন্যান্য এলাকার মতো রাজধানী ঢাকায়ও রবিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। তবে যাত্রী কম থাকায় বেশিরভাগ আসন ফাঁকা রেখে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকরা।

পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক, তাঁতীবাজার, গুলিস্তান এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। অবশ্য সাভার, গাবতলী, টঙ্গী, আব্দুল্লাহপুর, গাজীপুর রুটের বাসে যাত্রীর চাপ ছিল তুলনামূলক অনেক বেশি। কারণ ঢাকার বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের বেশিরভাগই এই পথ দিয়ে কর্মস্থল বা বাসার দিকে ছুটছেন।

রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের ঢাকা আসার সুবিধার্থে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। রবিবার সকাল থেকে রাজধানীতে বাস চলাচল করলেও সংখ্যা বেশ কম। 

তবে দক্ষিণাঞ্চলসহ মাওয়া ও আরিচা ফেরিঘাটে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি থাকলেও যাত্রী সংকটে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কোনো লঞ্চ ছাড়েনি বলে জানা গেছে। তবে ফেরিঘাটে লঞ্চ চলার কথা শোনা গেছে।

যদিও শনিবার দিনভর মানুষ অবর্ণনীয় ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। সঙ্গে গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া। 

শ্রমিকরা বলছেন, সরকার গণপরিবহন ও লঞ্চ শুক্রবার থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিলে তাদের এত ভোগান্তি হতো না।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আটদিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।

বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্প-কারখানা।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রবিবার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে।

যদিও তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রবিবার কাজে যোগ না দিলেও কোনো শ্রমিকের চাকরি যাবে না। কিন্তু তাদের সেই কথায় ভরসা রাখতে না পেরে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঢাকা এসেছেন শ্রমিকরা।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/বিইউ/কেআর)