এক দিন শিথিলের সুযোগে গণপরিবহনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২১, ১৩:০৭ | প্রকাশিত : ০১ আগস্ট ২০২১, ১২:৫৯

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের ঢাকা আসার সুবিধার্থে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ফলে চলাচল করছে সব ধরনের গণপরিবহন। কিন্তু এক দিনের এই শিথিলতায় গণপরিবহনগুলোতে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।

রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কলেজগেট থেকে বাংলামোটরের উদ্দেশ্যে লাব্বাইক গাড়িতে ওঠেন হামিদ। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, সরকার সব গাড়ির ভাড়া ৬০ শতাংশ বেশি নির্ধারণ করেছে। গাড়িতে আজ সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকেও বেশি ভাড়া নিচ্ছে। দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। ১৫ টাকার রাস্তা ৩০ টাকা ভাড়া নিয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা হয় লাব্বাইক গাড়ির চালকের সহকারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, কাল গাড়ি চলাচলের খবর শুনে রাত ১টায় গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে গেছি। সারারাত জেগে বসেছিলাম সকালে যাত্রী নিয়ে আসবো বলে। কিন্তু তেমন যাত্রী নাই। সকালে আমরা থাকা অবস্থায় ঘাটে তিনটা ফেরি এসেছে। তিন ফেরিতে মোট যাত্রী এসেছে ২৫ থেকে ২৬ জন। কাল গাড়ি বের করে আজ পর্যন্ত ৪ হাজার টাকার উপরে খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু যাত্রী পাচ্ছি না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে মালিককে টাকা দিতে হবে। কিন্তু পাবো কই। আবার কত দিন গাড়ি চালাতে পারবো না কে জানে। এই জন্যই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে গাড়ির সংখ্যা খুবই কম। সেই সঙ্গে যাত্রীর চাপও কম। বেশ কিছু সময় পরপর একটি দুটি বাস আসছে। যাত্রীর আশায় দাঁড়িয়ে থাকছে । তবে যাত্রী পাচ্ছে হাতেগোনা কয়েকজন। তবে কোনো কোনো বাসে দেখা গেছে দুই সিটে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। আবার বেশির ভাগ গাড়িতে ফাঁকা পরে থাকছে সিট। সেইসঙ্গে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার নিয়ম মানা হচ্ছে না। যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।

তবে ভাড়া বেশি দিয়েও যাত্রীদের মধ্যে কোনো ক্ষোভ দেখা যায়নি। যাত্রীদের ভাষ্যমতে ভাড়া একটু বেশি নিলেও রিকশা ভাড়ার তুলনায় অনেকটাই খরচ বেচে যাচ্ছে।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ৮ দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত থাকবে এই বিধিনিষেধ।

বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ ছিল। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্প-কারখানা।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রবিবার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এই ঘোষণার পর শনিবার ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে।

যদিও তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রবিবার কাজে যোগ না দিলেও কোনো শ্রমিকের চাকরি যাবে না। কিন্তু তাদের সেই কথায় ভরসা রাখতে না পেরে ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঢাকা এসেছেন শ্রমিকরা।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/আরকে/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :