বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীরাও একদিন চিহ্নিত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০২১, ১৩:৪৫ | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২১, ১৭:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করেছি। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা সেটা এখনো আবিষ্কার হয়নি। সেটা একদিন আবিষ্কার হবে। 

রবিবার শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে কৃষক লীগ আয়োজিত রক্ত ও প্লাজমা দান কর্মসূচির উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি কর্মসূচিতে যোগ দেন।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিলেন বর্ণনা দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফারুক-রশিদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছে সেখানে তারা বলেছে, জিয়াউর রহমান যে উপসামরিক প্রধান ছিল তার সাথে তাদের যোগাযোগ ছিল, সম্পর্ক ছিল যে সফল হতে পারলে তাদের সমর্থন দেবে, সঙ্গে থাকবে। মোশতাক-জিয়ার যে সখ্যতা ও তাদের যে সম্পর্ক এটা তো পরিষ্কার। বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ সে আদর্শ থেকে কিন্তু বাংলাদেশ বিচ্যুত হয়ে যায়। 

সরকারপ্রধান বলেন, জিয়ার পথ ধরে জেনারেল এরশাদ এই খুনিদের রাজনীতি করার অধিকার দেয়। তাদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে বেগম খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে বিরোধী দলের নেতা বানান। ৯৬ সালে আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসি, তখন এই বিচারের রায়ের দিন খালেদা জিয়া হরতাল দেয়। যাতে বিচারক আদালতে আসতে না পারেন। 

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ২০০১ এ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে এই খুনিদেরকে আবার পৃষ্ঠপোষকতা করেন। কাজেই দেশের ভেতরে এই ধরনের কর্মকাণ্ড তো প্রমাণ করে। ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধী তারাই কিন্তু ক্ষমতাটা দখল করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, যিনি এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। হত্যা করা হয় আমার মা, যিনি সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। শুধু সংসার চালাননি, পর্দার অন্তরালে থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতার জন্য। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিচক্র বাংলাদেশের নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পরিবর্তন করে ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ করতে চেয়েছিল। এ সংক্রান্ত একটি খসড়াও তারা তৈরি করেছিল। যদিও এটা টেকাতে পারেনি। মানুষ তা মেনে নেয়নি।

তিনি বলেন, এটি শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা নয়, একটি আদর্শকে হত্যা করা। এ দেশের বিজয়কে নস্যাৎ করা এবং একটি জাতিকে জাতি হিসেবে মর্যাদা নষ্ট করা। কেউ যেন আর এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে না পারে এ জন্য পরিবারের অন্যদেরও হত্যা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল একটাই; বাংলাদেশের বিজয়কে হত্যা করা।

কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১আগস্ট/কেআর)