কম খরচে গন্তব্যে যেতে ট্রাক খুঁজছেন তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২১, ১৭:১৮ | প্রকাশিত : ০১ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৬

শনিবার ঢাকায় এসেছিলেন রিকশাচালক মো. বাদশা। ট্রাকে করে বগুড়া থেকে ঢাকায় আসতে ৭০০ টাকা গুণতে হয়েছে তাকে। ভোগান্তি মাথায় নিয়ে বাধ্য হয়েই লকডাউনের শহরে এসেছিলেন তিনি। জীবিকার খোঁজ করার আগেই খবর পেলেন স্ত্রী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে একদিন পরেই আবার বাড়ির পথে রওনা হতে হয়েছে তাকে। কম খরচে বাড়ি যেতে ট্রাকের জন্য অপেক্ষা করছেন এই রিকশাচালক।

রবিবার সকালে রাজধানীর গাবতলী সেতু এলাকায় ঢাকা টাইমসের সঙ্গে আলাপ হয় বাদশার। তিনি বলেন, ‘বউডা একসিডিন (এক্সিডেন্ট) করছে। কোমর ভাঙছে। এখন তো আমার যাওয়াই লাগব। দুই ঘণ্টা ধইরা দাঁড়াইয়া আছি।’

সেতুর ওপরের মাইক্রোবাসে করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মাইক্রোবাসটি যাবে সিরাজগঞ্জ। জনপ্রতি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা করে। কিন্তু এত টাকা ভাড়া গোনা বাদশার পক্ষে সম্ভব না। তাই অপেক্ষা করছেন পণ্যবাহী গাড়ির জন্য।

বাদশার ভাষায়, ‘ট্রাকোত যামু। মাইকো (মাইক্রো) সিরাজগঞ্জ যাইব। আমি যামু বগুড়া। ৭০০ টাকা দিয়া বগুড়া থেকে আইছি। সিরাজগঞ্জ ৭০০ টাকায় গেলে ওইখান থেকে আবার ২০০ টাকা ভাড়া লাগব। আমার কাছে টাকা নাই। যে গ্যারেজের রিকশা চালাইতে আইছিলাম, ওই গ্যারেজ মালিকের থেকে ৫০০ টাকা নিয়া আইছি। এখন ওই টাকায় যাইতে হইব।’

শেষমেশ বাদশার জায়গা হয়েছে মাছের ট্রাকে। ঢাকাতে মাছ নিয়ে আসা এক ট্রাকে করে ৬০০ টাকা ভাড়ায় বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন তিনি।

বাদশা মতো অনেকেই বাড়ির পথে যেতে পড়েছেন ভোগান্তিতে। তাদের একজন রাশেদ। বাবা-মা অসুস্থ। তাদেরকে দেখতে জরুরি বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন তিনি। যাবেন কুড়িগ্রাম। কিন্তু উত্তরবঙ্গমুখী যাত্রীবাহী বাস পাচ্ছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে খুঁজছেন পণ্যবাহী পরিবহন।

দিনমজুর রাশেদ বলেন, ‘ঢাকায় আসি বাপ-মা’র জন্য। দুইজনই অসুস্থ। এইখানে কামকাজ কইরা বাড়ি টাকা পাঠাই। কিন্তু এখন তারা অসুস্থ। আমি ক্যামনে ঢাকায় থাকি। গাড়ি যাই, এখন যেইভাবে পারি যাওয়া তো লাগবই।’

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাবতলী সেতু এলাকায় অবস্থান করে দেখা যায়, ঢাকা থেকে সাভার, মানিকগঞ্জ, হেমায়েতপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর যেতে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেতুর মুখে। সাভার, হেমায়েতপুর, আরিচা ঘাট পর্যন্ত সেতু থেকে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে ভাড়া স্বাভাবিকের দ্বিগুণ। জনপ্রতি ভাড়া গুণতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।

সিরাজগঞ্জ থেকে উত্তরের পথে যাত্রীরা যাচ্ছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারে। জনপ্রতি ভাড়া ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর যারা কম খরচে যেতে যান তারা বেছে নিচ্ছেন ট্রাক, পিকাপ ভ্যান। জনপ্রতি ভাড়া গুণতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/০১আগস্ট/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :