মাদকসহ মডেল মৌ ও পিয়াসা আটক

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ০১:২১ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২১, ০২:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা ও সিসাসহ আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের সাবেক পুত্রবধূ ও মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। রাজধানীর বারিধারার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার রাত ১০টা থেকে পিয়াসার বাড়িতে অভিযান শুরু করে ডিবি পুলিশ। বাড়িতে তল্লাশির এক পর্যায়ে বিভিন্ন রুমে থাকা বিপুল মদ, ইয়াবা ও সিসা খাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। যেগুলো পিয়াসা নিজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বের করে দেন।

ডিবি পুলিশ বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বারিধারায় পিয়াসার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পরে বাড়ির প্রতিটা রুম তল্লাশি করে মদ, ইয়াবা ও সিসা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পিয়াসাকে আটক করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মডেল মৌয়ের মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। সেখানেও মাদক পাওয়া যায়। এসময় মৌকে আটক করে পুলিশ।

তবে অভিযানের ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

দুই বছর আগে পিয়াসা নামটি বেশ আলোচনায় আসে। দেশের প্রথম সারির জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম তার সাবেক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ মামলা করেন। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পিয়াসা। মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে জামিন দেন আদালত।

মামলায় দিলদার আহমেদ সেলিম অভিযোগ করেন, পিয়াসা দিলদারপুত্র সাফাতকে ফাঁদে ফেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে, পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। তাই ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত।

রাজধানীর রেইট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় পিয়াসার স্বামী সাফাত জড়িত ছিলেন। সে সময়ও পিয়াসা আলোচনায় আসেন।
২০১৯ সালের ১১ মার্চ দিলদারের বিরুদ্ধেও একটি মামলা করেন পিয়াসা। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, দিলদার আহমেদ পিয়াসাকে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি দিয়েছেন। তবে সে বছরের ১৭ জুলাই পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, পিয়াসার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/এসএস/জেবি)