স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই পাটুরিয়া ঘাটে

পাটুরিয়া ফেরিঘাটে সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফেরিঘাট এলাকায় কর্মস্থলমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে নদী পার হয়ে পাটুরিয়ায় আসছে এসব মানুষ।

সরেজমিন পাটুরিয়ার তিনটি ঘাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অপরদিকে লঞ্চঘাট এলাকায় যাত্রীদের তেমন ভিড় নেই। তবে অন্যান্য দিনের মতো ভোগান্তি না পোহাতে হলেও যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

পাটুরিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় কথা হয় পোশাকশ্রমিক সীমা আক্তারের সাথে। তিনি কুষ্টিয়া থেকে এসেছেন পাটুরিয়ায়। নবীনগরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি জানান, কুষ্টিয়া থেকে দৌলতদিয়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত বাস ভাড়া ১৫০ টাকা। কিন্তু সবার কাছ থেকে ৩৫০ টাকা নিয়েছে। ঘাট পার হয়ে দেখি নবীনগরের ভাড়া চায় ৫০০ টাকা। কালকে কারখানা খুলেছে কাল আসতে পারিনাই তাই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আজ যেতে হচ্ছে। কি করব, চাকরি তো করতে হবে।

নড়াইল সদর উপজেলার বাশগ্রামের মো. সেলিম হোসেন। মিরপুরের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। ঈদের আগের দিন পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে অনেক ভোগান্তিতে গ্রামে গিয়েছিলেন। সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধে বাড়িতেই পরিবার পরিজন নিয়ে ছিলেন। ৩১ জুলাই অফিস থেকে কাজে ফেরার জন্য বলা হয়। কাল ফিরতে পারেননি বলে আজ সকালে নড়াইল বাসস্ট্যান্ড থেকে সাত জন মিলে ৬০০০ টাকায় দিয়ে রিজার্ভ করে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসেন। ঘাট পার হওয়ার পর প্রাইভেটকারে জনপ্রতি ৭০০ টাকা করে লাগবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান বলেন, আজও মানুষ কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। সকালে ঘাটে চাপ না থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফেরিঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে যানবাহনের সংখ্যা কম। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে নয়টি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২ আগস্ট/পিএল)