মৌ ও পিয়াসার বিরুদ্ধে মাদক মামলা

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর বারিধারা থেকে বিপুল মাদকসহ গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আলোচিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা এবং মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌয়ের (মৌ আক্তার) বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে গুলশান থানায় পিয়াসার বিরুদ্ধে এবং মোহাম্মদপুর থানায় মৌয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ফারুক হোসেন।

ডিএমপির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জোনায়েদ আলম সরকার জানান, মাদক আইনে করা দুই মামলায় দুজনকে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে বিকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাতে দুজনের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযান শেষে মোহাম্মদপুরে মৌয়ের বাড়ির নিচে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি উত্তর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর রশীদ।

এ সময় তিনি বলেন, তারা দুজন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অনেক ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পেয়েছি। সেসব ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তাদের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুজনের বাসায় বিদেশি মদ, ইয়াবা ও সিসা পাওয়া গেছে। মৌয়ের বাড়িতে মদের বারও ছিল।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এই দুই মডেল হচ্ছেন রাতের রানী। তারা দিনের বেলায় ঘুমান এবং রাতে এসব কর্মকাণ্ড করেন। উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের পার্টির নামে বাসায় ডেকে আনতেন তারা। বাসায় আসলে তারা তাদের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। পরে তারা সেসব ভিডিও ও ছবি ভিকটিমদের পরিবারকে পাঠাবে বলে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিতেন।’

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় নানা ঘটনায় আলোচনায় আসেন মডেল পিয়াসা। ২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারে নাম ছিল ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু সেই পিয়াসার বিরুদ্ধেই আবার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেছিলেন ভুক্তভোগী।

দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পিয়াসা ও মৌকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিকাল চারটার কিছু আগে তাদেরকে একটি কালোগাড়িতে করে ডিবি কার্যালয় থেকে বের আদালতের উদ্ধেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/এআর/এমআর