প্রাভা হেলথের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ২০:১১ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২১, ২০:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়া, ভুল রিপোর্ট দেওয়াসহ সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রাভা হেলথের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক আদেশে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রাভা হেলথের বিরুদ্ধে তদন্তে চারটি সুনির্দিষ্ট অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অধিদপ্তর জানিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত ৭ জুলাই প্রাভা হেলথের বিরুদ্ধে নমুনা পরীক্ষায় ভুল রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের পরিবার লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগে বলা হয়, প্রাভা হেলথের ভুল রিপোর্টের পর তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল হয়। প্রাভা হেলথ কর্তৃপক্ষ নতুন করে আর নমুনা পরীক্ষা করাতে রাজি হয়নি।

সাবেক মন্ত্রীর পরিবারের সব সদস্যের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্রে (আইইডিসিআর) পরীক্ষা করালে তাদের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। অথচ এদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে প্রাভা হেলথের পরীক্ষায়।

পরে তাদের ভুল ফল দেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানায় ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের পরিবার।

এই অভিযোগ তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কমিটি গঠন করে। অধিদপ্তরের উপপরিচালক (হাসপাতাল-১) ও তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, তারা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন এবং সত্যতা পান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার স্যাম্পল কালেকশন বুথে পৃথক ডনিং ও জফিং রুম থাকার কথা থাকলেও প্রাভা হেলথে একই রুমে ডনিং ও জফিং করা হয় হয়, তা গ্রহণযোগ্য নয়।

এছাড়াও প্রাভা হেলথে বিদেশগামীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকা নেওয়া হলেও রেজিস্রেদেশন বাবদ ১৫০ টাকা করে বেশি নিত, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় রিপোর্টে বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্রেনিশনপ্রাপ্ত একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক, কিন্তু প্রাভা হেলথের রিপোর্টে কোনো স্বাক্ষর থাকে না। যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

এর বাইরেও প্রাভা হেলথের ওয়েবসাইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে তাদের অংশীদার (Our Partner) দাবি করে লোগো ব্যবহার করত। এ বিষয়ে জবাব চাওয়া হলে কোনো উত্তর না দিয়ে ওয়েবসাইট থেকে আগের লেখা পরিবর্তন করে (Our Corporate Clients লিখে)। যা তদন্ত কমিটির কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি।

(ঢাকাটাইমস/০২আগস্ট/বিইউ/জেবি)