বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটে কমেছে যাত্রী দুর্ভোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ আগস্ট ২০২১, ২১:০৪

গেল দুই দিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে তেমন যাত্রীর চাপ নেই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। ফেরির তুলনায় লঞ্চে যাত্রীরা বেশি পারাপার করছে। এতে দুর্ভোগ কমেছে রাজধানীমুখী যাত্রীদের। যাত্রীরা লকডাউনে ফেরির সাথে লঞ্চ চলাচল চালু রাখার দাবি করছেন। এদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া উভয় ঘাটে পন্যাবাহী ট্রাকের চাপ রয়েছে। দুই ঘাটে প্রায় তিন শতাধিক ট্রাক রয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী কল-কারখানা খোলার ঘোষণায় গেল দুই দিনে ফেরি ও লঞ্চে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যাত্রীদের স্রোত নামে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে। কঠোর দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদ্মা নদী পার হন। পরে উভয় ঘাটে প্রশাসনের তৎপরতায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।

ঢাকামুখী শিমুল নামে এক যাত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে গেল দুই দিনের চিত্র দেখে ঢাকা যাওয়ার নাম নেইনি। আজ ভাবছি, পরিস্থিতি ভালো। তাই পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি। তবে পরিবহন বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে। ঘাটে তেমন কষ্ট হচ্ছে না। যদি লঞ্চ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করত, তাহলে আমাদের দুর্ভোগ হতো না।’

নিয়মিত লঞ্চ চলাচল রাখার বিষয় লঞ্চ মালিক সমিতির শিমুলিয়া জোনের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যাত্রীরা ফেরিতে যেভাবে গাদাগাদি আর ঠাঁসাঠাঁসি করে নদী পার হয়, এতে করোনা আরো বেশি ছড়ায়। যদি লঞ্চে নিয়ম করে যাত্রী পারাপার করা যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমে যেত। এই কয়েকদিনে স্মরণকালের দুর্ভোগ হয়েছে যাত্রীদের। তাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা রাখছি।’

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী কর্মকর্তা ব্যবস্থাপক ভজন কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে এ রুটে ১০টি ফেরি চলছে। রো রো ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তীতে সেগুলো চালানো হবে। এখন অগ্রাধিকারভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী পরিবহন, পচনশীল দ্রব্যের ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :