পদ্মা সেতুর আর মাত্র একটি স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো বাকি
প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২১, ০৯:৪৬ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২১, ১১:২৪
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে পদ্মা সেতু। আর মাত্র একটি স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো বাকি। তারপর হেঁটেই পার হওয়া যাবে সেতু! ১২ নম্বর স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়ে গেলেই সেতুর বড় একটি কাজের সমাপ্তি ঘটবে। ইতোমধ্যে গত মাসে ১১ নম্বর স্প্যানে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
পদ্মা সেতুর প্রকৌশলীরা আশা করছেন আগস্ট মাসের মধ্যেই সেতুর ১২ নম্বর স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হবে। সব মিলিয়ে পুরো সেতুতে স্প্যান লাগবে ২ দুই হাজার ৯১৭টি।
সেতুর সর্বশেষ স্প্যানে স্ল্যাব বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েকটি স্ল্যাব বসানোর স্ল্যাবে গ্রাউটিং ও ওয়্যার প্রবেশের কাজ করতে হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই ১২ নম্বর স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।
দ্বিতল সেতুর নিচের অংশে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া ১৩ জুলাই সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪১ নম্বর স্প্যান থেকে ৩৭ নম্বর স্প্যান পর্যন্ত রোডওয়ে স্ল্যাব, প্যারাপেট ওয়াল এবং রোড ডিভাইডার বসানো হয়েছে। এই সড়কটুকুতে বাতি ছাড়া প্রায় সব কাজই শেষ।
এদিন সেতুর ৪০ নম্বর স্প্যানের উপরের সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হয়। এর আগে এই স্প্যানের উপরের সড়কে ১০ মিটার প্রস্থ এবং ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওয়াটার প্রুফ মেমব্রেন বিছানো হয়েছিল। যেটি পানি নিরোধক একটি প্রলেপ। তার উপরের পিচ ঢালাই করা হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ। সেতুর মূল আকৃতি দোতলা।
মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/এজেড/কেআর)