প্রেসারে না রাখলে বাঙালিকে সহজে নড়ানো যায় না
লক ডাউন বেড়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে টিকা না নিয়ে রাস্তায় বের হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। টিকা নিলে দোকানপাট, মার্কেট খোলা যাবে।
আমার মতে এটা ভালো একটা সিদ্ধান্ত। অন্তত লকডাউনের চেয়ে এটা অনেক ভালো হবে। এতে টিকা নেওয়ার গতি এবং সংখ্যাও অনেক বেড়ে যাবে। প্রেসারে না রাখলে বা বাঙালিকে সহজে নড়ানো যায় না। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
আগামি ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে ১৮+ বয়সের গণ টিকাদান কর্মসূচি। প্রতি ইউনিয়নে তিনটি করে টিকাদান কেন্দ্র হবে। প্রতি তিন ওয়ার্ড মিলে সুবিধাজনক জায়গায় একটি করে বুথ হবে। আপনারা ইউপি চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড মেম্বারদের কাছে জেনে নেবেন বুথের অবস্থান।
মেট্রোপলিটন বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি করে বুথ হবে সুবিধাজনক জায়গায়। ওয়ার্ড কমিশনার অফিস থেকে বুথের অবস্থান জেনে নিতে পারবেন।
এইসব কেন্দ্র ঠিক করা হয়েছে গ্রামের এবং শহর এলাকার অসচেতন মানুষের জন্য। বিশেষ করে স্লাম এরিয়া বা বস্তিবাসীর জন্য। এখানে শুধু এনআইডি কার্ড নিয়ে গেলেই হবে, আর লাগবে একটি মোবাইল নাম্বার। তবে সেখানে ওটিপি জেনারেট হবে না।
২য় ডোজও এইসব বুথ থেকেই দেওয়া হবে। যারা সুরক্ষা পেজ থেকে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কিন্তু এসএমএস পাননি, তারা কার্ড ডাউনলোড করে এইসব বুথ থেকে টাকা নিতে পারবেন।
টিকা নিন সবাই। গণ টিকাই পারে ডেথ রেট অনেক কমিয়ে আনতে। এটা ছাড়া আমরা কখোনই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারব না। জীবন মৃত্যুর মালিক একমাত্র আল্লাহপাক। তিনি কিন্তু আমাদের সচেতন এবং বিবেকবুদ্ধি প্রয়োগ করতে বলেছেন। বাঁচার চেষ্টা করতে বলেছেন।
টিকা নেওয়ার পরেও কেউ মারা গেলে, বেঁচে যাবে তার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশি। আসুন আমরা সবাই মিলে আবার হাসিখুশিময় জীবন ফিরিয়ে আনি।
লেখক: অতিরিক্ত সচিব
ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/এসকেএস