লকডাউনে চাকরি বাঁচাতে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে অফিসে!

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪৯ | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৫

কৌশিক রায়, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান ‘কঠোরতম লকডাউনে’ বন্ধ রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি সেবাদানকারীর প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস খোলা। এর বাইরে কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও খোলা রাখছে। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এসব অফিসে কর্মরতরা পড়েছেন বিপাকে।

চাকরি বাঁচাতে তাদের অনেকেই পায়ে হেঁটেই আসা যাওয়া করছেন অফিসে। এমনই একজন অভিজিত রায়। রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে প্রতিদিনই পরিবাগ এলাকার অফিসে হেঁটেই আসা যাওয়া করেন স্বল্প আয়ের এই চাকরিজীবী।

ফার্মগেট এলাকায় দাঁড়িয়ে এই প্রতিবেদককে জানান লকডাউনের দিনগুলোতে তার অফিস করার ভোগান্তির কথা। হেঁটে আসতে বলে প্রতিদিন ভোরেই ঘুম থেকে উঠেন অভিজিত। তারপর তৈরি হয়ে হাঁটা শুরু করে অফিসের উদ্দেশে।

অভিজিত বলেন, ‘শ্যামলী থেকে পরিবাগ দুরত্বটা একদম কম না। দীর্ঘ ২ ঘন্টা পায়ে হেঁটে অফিসে যা, সারাদিন অফিস সেরে একইভাবে হেঁটে বাসায় ফিরি। এভাবেই অফিস করছি লকডাউনে।’

অভিজিতের মতো জীবিকার তাগিদে অফিসের জন্য প্রতিদিনই বের হতে হয়ে অনেককে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ রিকশায় যাতায়াত করলেও দূরের গন্তব্যে যাদের কর্মস্থল, তাদের ভরসা নিজের পা জোড়া। কারণ রিকশায় করে আসা যাওয়া করতে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আপদের মতো।

অভিজিত বলছিলেন, ‘অন্য কোনও যানবাহন না থাকায় রিকশা চালকেরা ইচ্ছে মতো ভাড়া হাঁকেন। বাসে যাতায়াতে যেখানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা সেখানে রিকশায় যাতায়াতে খরচ লাগছে প্রায় ৫০০ টাকা। কষ্ট হলেও চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটেই অফিস করছি।’

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় ঈদুল আজহার পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম লকডাউন’ জারি আছে। মঙ্গলবার লকডাউনের ১২তম দিনে এসে বিধিনিষেধ আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে সরকার। লকডাউন চলাকালীন বন্ধ থাকবে সব ধরণের গণপরিবহন।

এমন বাস্তবতার মধ্যেও বাধ্য হয়েই যাদের অফিস করতে হচ্ছে সড়কে তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে রিকশায় করে যাতায়াত করছেন। তবে নিরুপায় অনেকেরই ভরসা পায়ে হাঁটা।

(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/আরকে/ডিএম)