করোনা রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার চিন্তা

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

হাসপাতালগুলোর ৯০ ভাগ সিট ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। আইসিইউ বেড খালি আছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। এই অবস্থায় করোনা আক্রান্ত কম ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের হোটেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।  

মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিধিনিষেধ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট ভর্তি হয়ে গেছে, রোগী আছে সিট ফাঁকা নেই। আইসিইউ অলরেডি ৯৫ শতাংশ অকুপাইড। এই চিন্তা করে আমরা ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করছি। সেটার কাজ চলমান। সেখানে ইমিডিয়েটলি আমরা হয়তো ৫০০ থেকে ৬০০ বেড রেডি করতে পারব। পরে তা এক হাজার বেডে নেয়া যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আরেকটি সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি, সেটা হলো- করোনা আক্রান্ত সবাইকে কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়ে না। যেগুলো হালকা, মাইল্ড কেস, সেসব রোগীর জন্য আমরা আলাদা হোটেল ভাড়া করার চিন্তা করেছি। যে হোটেলের মধ্যে আমাদের ডাক্তার থাকবেন, নার্স থাকবেন, ওষুধপত্র থাকবে, কিছু অক্সিজেনের ব্যবস্থাও আমরা রাখবো।’
হাসপাতাল করার আর জায়গা নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতাল খালিও নেই। তাই আমরা এখন হোটেল খুঁজছি। যেখানে আমরা একটা ব্যবস্থা করতে পারি, মৃদু যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের রাখতে পারি। ওখানে থেকে চিকিৎসা নিয়ে যাতে ভালো হয়ে বাড়ি যেতে পারেন। সেই ব্যবস্থাটুকু আমরা হাতে নিয়েছি।’
৭ আগস্ট থেকে সাত দিনের জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সাত দিনে আমরা প্রায় এক কোটি টাকা দেব। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
টিকার ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৫০ বছরের বেশি তারা আগ্রাধিকার পাবেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামের বয়স্কদের আমরা অগ্রাধিকার দেব। পঞ্চাশোর্ধ যারা আছেন, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দেব, এই বয়সীদের মৃত্যু এখন ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। আমাদের হাতে সোয়া কোটি টিকা আছে। আরও এক কোটি টিকা আমাদের হাতে এসে পৌঁছবে। অর্থাৎ টিকা কর্মসূচি বজায় থাকবে।’
জাহিদ মালেক বলেন ‘এনআইডির (জাতীয় পরিচয়পত্র) মাধ্যমে আমরা ভ্যাকসিন দেব। যাদের এনআইডি নেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে ঘোষণার আগেই দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই টিকা উৎপাদন করার কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমতিও পেয়েছি। পাশাপাশি আরেকটি জিনিসের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে- ভ্যাকসিনের পাশাপাশি মাস্ক পরিধান করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি এটাকে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই, এনফোর্স করতে চাই, পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে যারা মাস্ক পরবে না তাদের কিছুটা হলেও শাস্তি দিতে পারে, জরিমানা করতে পারে। একটি অধ্যাদেশ লাগবে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা হয়তো বা সেদিকে যাব।’
(ঢাকাটাইমস/০৩আগস্ট/কারই/জেবি)