পিনাক-৬ এর সাত বছর: এখনো আঁতকে উঠেন সাধারণ যাত্রীরা

প্রকাশ | ০৩ আগস্ট ২০২১, ২১:২০

সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর

আজ (৪ আগস্ট) পিনাক-৬ দুর্ঘটনার সাত বছর। এই দিনে পদ্মায় স্মরণকালের ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি। সরকারি হিসাবে এতে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ থাকে ৬৪ জন। উদ্ধার লাশের মধ্যে ২১ জনকে মাদারীপুরের শিবচর পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। সাত বছরেও তাদের কারো পরিচয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এখনো পিনাক-৬ ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে আঁতকে উঠেন যাত্রীরা।

জানা যায়, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যায় পিনাক-৬ নামে এই লঞ্চটি। ৪৯ জনের লাশ বিভিন্ন জেলা থেকে উদ্ধার করে শিবচরের পাঁচ্চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। নিখোঁজ হন ৬৪ জন। উদ্ধার লাশের মধ্যে ২১ জনকে শিবচরের পৌর কবরস্থানে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়। রেখে দেয়া হয় ২১ জনের ডিএনএ টেস্টের নমুনা। তবে এই সাত বছরেও কেউ শনাক্ত করতে আসেনি লাশগুলোর। পিনাক ট্র্যাজেডির কথা মনে পড়লে আজও ভয়ে গা শিউরে উঠে দুর্ঘটনায় কবলিত ও সাধারণ যাত্রীদের। আর যেন পিনাক-৬ এর মতো দুর্ঘটনা না ঘটে এমনটাই কাম্য সাধারণ যাত্রীদের।

এ ব্যাপারে শিবচর পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান জানান, ‘পিনাক-৬ ডুবিতে উদ্ধারকৃত যে সকল লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তা পৌর কবরস্থানে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে দাফন করা হয়। তবে এ পর্যন্ত লাশের খোঁজে কেউ আসেনি। যদি কেউ নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে মৃতদেহ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, ‘পিনাক-৬ ডুবিতে অনেকেই মারা গেছেন। লঞ্চডুবিতে নিঁখোজও হয়েছেন প্রায় অর্ধশত মানুষ। যে লাশগুলো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচলে কঠোর রয়েছে প্রশাসন। আমরা সব সময়ই লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের নির্দেশ দিয়েছি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে যাত্রী পারাপার না করতে। নিয়মিত লঞ্চে জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামসহ লাইফ জ্যাকেট বয়া লঞ্চে রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিং করছি।

(ঢাকাটাইমস/৩আগস্ট/এলএ)