প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি আরিফকে

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৬:০৫

এম শরীফ ভূঞা, ফেনী

শারীরিক উচ্চতা তার মাত্র তিন ফুট। কিন্তু তাতে কী? ইচ্ছা আর মনে শক্তি যথেষ্ট। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দাবিয়ে রাখতে পারেননি। প্রবল আগ্রহে থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী কাজী আশ্রাফুল হায়দার আরিফ(২৮)।

আরিফ ফেনী সরকারি কলেজে এমবিএ শিক্ষার্থী। তিনি দাগনভ‚ঞা উপজেলার মোমারিজপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহীমের ছেলে। তার বাবা একজন কৃষক। মাতা সবুরা বেগম একজন গৃহিণী। পড়া-লেখা শেষ করে তিনি চান সরকারি চাকুরী করতে।

কাজী আশ্রাফুল হায়দার আরিফ জানান, তিনি পড়া-লেখার পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামের অনেককে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তার কাছে একটি কম্পিউটার রয়েছে। কম্পিউটার আরো থাকলে তাকে প্রশিক্ষণ দিতে সুবিধা হত।

মা সবুরা বেগম জানান, আরিফ জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী। চার বোনের মধ্যে একমাত্র ভাই। সে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। অভাবের সংসারে পড়াশুনা করানো অনেক কষ্ট হয়ে যায়। আমাদের এমন কষ্টের সংসারে বিশেষ করে আমার প্রতিবন্ধী ছেলের লেখা-পড়ার খরচ দিতে বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে আরও সহজ হতো।

সানরাইজ যুব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ কাজী ইফতেখারুল আলম বলেন, পড়া-লেখার প্রবল ইচ্ছা শক্তি আরিফকে আজ এত দূর পৌঁছেছে। তাকে দেখে অন্যরাও সাহস পাবে।

হেডমাস্টার ফারুক ভূঞা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সদস্য আবদুল আউয়াল জানান, আরিফ উচ্চ শিক্ষা শেষ করে কর্মক্ষেত্রও সে সফল হবে আমাদের বিশ্বাস। জীবন এগিয়ে যেতে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোন বাধা নয়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আরিফ।

দাগনভূঞা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফ আহমেদ জানান, শারিরীক অক্ষম যুবকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আরিফ প্রশিক্ষণ নিলে আত্মকর্মসংস্থান ও সরকারি ঋণের সুযোগ নিয়ে তার পরিবার স্বাবলম্বী হবে।

(ঢাকাটাইমস/৪ আগস্ট/পিএল)