ময়লার ভাগাড়: দূষণের কবলে বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ হালদা

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৬:৩২

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হালদা নদী দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র। ইতোমধ্যে গত ডিসেম্বরে রুই জাতীয় মাছের মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত এ নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।

হালদার জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও মানিকছড়ি উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী উপজেলা এবং পাঁচলাইশ থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী এবং নদী তীরবর্তী ৯৩ হাজার ৬১২টি দাগের ২৩ হাজার ৪২২ একর সীমানার হেরিটেজ এলাকায় ১২টি শর্ত আরোপ করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন সচেতনতা ও বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও অনেক জায়গায় মানা হচ্ছে না এসব শর্ত। নদীর পাড়ে অবস্থিত বিভিন্ন বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তদারকির অভাবে দূষিত হচ্ছে এই প্রাকৃতিক সম্পদ।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট বাজারে সরেজমিনে গেলে নদীর পাড়ে দেখা মেলে ময়লার ভাগাড়ের। বাজারের ময়লা আবর্জনার স্তূপ করে রাখার ফলে বৃষ্টি হলে তা পানির সঙ্গে গড়িয়ে মিশে যাচ্ছে নদীতে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দূষণের কবলে পড়ছে এই মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি। অথচ পাশেই নাজিরহাট পৌরসভা অবস্থিত হলেও নির্বিকার যেনো জনপ্রতিনিধি ও বাজার কমিটি।

এ বিষয়ে জানানো হলে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিনুল হাসান বলেন, আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। বিষয়টি স্থানীয় মেয়রকে জানিয়েছি। এছাড়াও আমরা নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানাবো। এরপরও যে দোকানের পেছনে এ ধরনের ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে ওই দোকানিকে জরিমানা করা হবে।

এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র সিরাজুদ্দৌলাকে জানানো হলে তিনি পরিচ্ছন্নকর্মী পাঠিয়ে পরিষ্কার করাবে বললেও নদী দূষণের এমন পূণরাবৃত্তি বারবার লক্ষ্য করা যায়। এলাকাবাসী এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/কেএম)