আফগানদের পুনর্বাসনে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা তুরস্কের

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৮:১০ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২১, ১৮:২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সৈন্য সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যেসব আফগান নাগরিক গত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষে কাজ করেছেন তাদের ভবিষ্যৎ এখন হুমকির মুখে। যুক্তরাষ্ট্র চলে গেলে তালেবান তাদের উপর হামলা করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। এমন শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা আফগান নাগরিকদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। ইতোমধ্যে ২৫০০ আফগান নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সামনে এরকম হাজার হাজার আফগান নাগরিককে নিয়ে যাবে। কিন্তু এই শরণার্থীদের সরাসরি না নিয়ে তৃতীয় কোনো দেশ ব্যবহার করে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তৃতীয় দেশ হিসেবে তুরস্ককে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেছে তুরস্ক সরকার। তারা বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলে ‘বড় অভিবাসন সংকট’ তৈরি করতে পারে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত তুরস্ক গ্রহণ করবে না। যদি তারা আফগান নাগরিকদের তাদের দেশে নিতে চায় তাহলে বিমানে করে সরাসরি নিয়ে যাক। কারো প্রত্যাশা করা উচিত নয় যে, তুরস্ক অভিবাসন সংকটের বোঝা বহন করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট সোমবার ঘোষণা দিয়েছে যে, নতুন কর্মসূচির আওতায় কিছু আফগান নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী হিসেবে পুনর্বাসনের সুযোগ পাবেন। এই আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে কাজ করা দোভাষী ও অনুবাদকরা সুযোগ পাবেন। আর ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এসব আফগান নাগরিককে তৃতীয় কোনো দেশে ১২ থেকে ১৪ মাস থাকা লাগতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ওয়াশিংটন আলোচনা করছে। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত খোলা রাখা প্রয়োজন। অন্যরা ইরানের মধ্য দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করতে পারে।’

সূত্র: আল জাজিরা

(ঢাকাটাইমস/৪ আগস্ট/এসইউএল)