পরীমনির বাথরুমেও মিলেছে মদ!

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০২১, ২১:০৬ | আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২১, ২১:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির বাসায় থরে থরে সাজানো ছিল দেশি-বিদেশি হরেকরকম মদের বোতল। ছোট বড় এসব মদের বোতল পরীমনির ড্রইং রুম, বেড রুম এমনকি বাথরুমেও রাখা ছিল।

বুধবার বিকালের এই অভিযানে এলিট ফোর্স র‌্যাবের সদস্যরা হরেক রকম মদ জব্দ করে। এসময় তার রুম থেকে ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইস উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানান, তিনি মদে আসক্ত ছিলেন। হরেক রকম মদের বোতলে 'মদ সেবন' তার শখ ছিল।

এদিকে মাদকসহ নায়িকা পরীমনিকে আটকের পর র‌্যাব সদরদপ্তরে নেওয়া হয়েছে। রাত আটটা ১৫ মিনিটে তাকে র‌্যাবের সাদা রঙের কালো গ্লাসযুক্ত একটি হাইস গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় পরীমনি একটি চেকশার্ট পরা ছিলেন।

এর আগে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি, আইস জব্দ করা হয়। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার গাড়ি চালক ও দারোয়ানকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে বিকাল চারটার দিকে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে পরীমনি জানান, তার বাসায় কে বা কারা প্রবেশের চেষ্টা করছে। এ সময় তিনি পুলিশসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তবে শেষ র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দরজা খুলতে বাধ্য হন।

মাস-দুয়েক আগেও পরীমনি আলোচনায় এসেছিলেন। গত ৯ জুন মধ্যরাতে সাভারে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর ১৩ জুন রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমনি।

পরদিন তিনি সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমনি। ওইদিন দুপুরে পরীমনি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে নাসির উদ্দিন আহমেদ ও অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

এর কয়েক দিন আগে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব এবং বনানী ক্লাবে মদ্যপ অবস্থায় ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ উঠে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে।

এদিকে পরীমনিকে আটকের চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বনারীর বাড়িতেও অভিযান শুরু করেছে র্যা ব। তিনি পরীমনির প্রথম ছবি ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ এর প্রযোজক ছিলেন। প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ও করেন। তার হাত ধরেই নাটক থেকে সিনেমায় নাম লেখান পরীমনি।

(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এসএস/জেবি)