পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করবেন ব্যবসায়ী নাসির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২১, ০২:৫৯ | প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২১, ০২:৪২

ঢাকার অদূরে বোর্টক্লাবের ঘটনায় এবার চলচ্চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাসির নিজেই।

তিনি বলেন, 'সেদিনের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হয়। আমাকে জেলে পাঠানো পর্যন্ত হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। এই ঘটনায় আমি বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

গত ১২ জুন রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন পরীমনি। সেখানে তিনি অভিযোগ করে বলেন তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ব্যবসায়ী নাসির ইউ আহমেদকে এ জন্য অভিযুক্ত করেন। পরেরদিন তিনি নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি জানান, ৯ জুন রাতে পূর্বপরিচিত অমির সঙ্গে বোট ক্লাবে যান তিনি। সেখানে গিয়ে দেখেন নাসির উদ্দিনসহ চার-পাঁচজন টেবিলে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন অমি। টেবিলে দুটি মদের বোতল ছিল। তাকে মদপানের প্রস্তাব দিলে তা নাকচ করেন তিনি। পরে তাকে কফি খেতে দেওয়া হয়। তবে, কফির স্বাদ স্বাভাবিক ছিল না। তাই তিনি কফি পান করেননি। তার সঙ্গে থাকা জেমিকে সরবরাহ করা কোল্ড ড্রিংকসেও কিছু মেশানো হয়েছিল বলে মনে করেন জেমি। পরে তিনিও কোল্ড ড্রিংকস পান করেননি। এতে ক্ষিপ্ত হন নাসির উদ্দিন। তিনি ও তার সঙ্গে থাকা জেমি ওয়াশরুমে যেতে চাইলে তাকে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি তারা বাসায় যেতে চাইলেও বাধা দেওয়া হয়। এরপর নাসির উদ্দিন তাকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন এবং মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে দেন। এতে তার দাঁতে আঘাত লাগে এবং কিছু মদ গলার মধ্যে চলে যায়। এতে তার বুক জ্বালা করে। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাছাড়া জেমিকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি ও জেমি চিৎকার ও কান্না করলে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয় এবং গালাগাল করা হয়।

পরে তিনি সাভার থানায় নাসিরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলা কারাগারে ছিলেন নাসির। পরে জামিনে মুক্তি পান।

তবে, এই ঘটনার পর পরীমনির বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, পরীমনি মাতাল অবস্থায় বোর্টক্লাব ভাংচুর করছেন। এই ঘটনার দুদিন আগে রাজধানীর গুলশানের আরেকটি ক্লাবে পরীমনি ভাঙচুর চালান বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে।

এদিকে গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার কিছু সময় আগে চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসায় অভিযানে যায় র‍্যাব। চার ঘণ্টার অভিযানে মদ, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইচ উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে নেওয়া হয় র‍্যাব সদরদপ্তরে। এখানে অভিযান শেষে চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজের বাড়িতে অভিযান শুরু করেন র‍্যাব সদস্যরা। তার বাড়িতেও মেলে মাদক ও নানান অবৈধ জিনিস। পরে তাকেও নেওয়া হয় র‍্যাব সদরদপ্তরে

(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/এসএস/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :