মানবিক পুলিশ গড়ার স্বপ্নসারথি আইজিপি বেনজীর আহমেদ

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২১, ০৭:৫৬ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৫:২৯

হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ঢাকাটাইমস

ড. বেনজীর আহমেদকে একবাক্যে সবাই মেনে নেন একজন ডায়নামিক কর্মকর্তা হিসেবে। বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজিপিকে একাধারে মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রত্যুৎপন্নমতি বলে একবাক্যে মেনে নেন সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মহল। পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের পেশাদারি মনোভাব, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শতভাগ আনুগত্য ও তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার ধরন থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে স্বীকার করেন সকলেই। জঙ্গি, মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি যে তাঁর সহজাত মনোভাব এটাও সকলের জানা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি যে একজন অসম্ভব মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা সেই পরিচয়টিও এখন প্রকাশ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত।

 

পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব লাভের পর একের পর এক ইতিবাচক কর্মকাণ্ড দিয়ে বেনজীর আহমেদ প্রমাণ করেছেন সৃজনশীলতা, মেধা, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নেতৃত্ব দিলে কীভাবে পুলিশের মতো সদা ব্যতিব্যস্ত একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বন্ধুতে পরিণত করা যায়। মানবিক একটি পুলিশ বাহিনী গড়তে তাঁর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে সমাজে এই উপলব্ধি ক্রমশই দৃঢ় হচ্ছে যে, জনগণ আর পুলিশ অসম্ভব ভালো বন্ধু।

 

পুলিশের ইতিবাচক ব্র্যান্ডিংয়ে মানবিক এই আইজিপির অসামান্য ভূমিকা নিয়ে বাহিনীর সবাই গর্বিত। মানবিক হৃদয়ের মানুষ তিনি। অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে ভাবেন। কীভাবে কল্যাণ করা যায় তাদের, দাঁড়ানো যায় সহায়হীনের পাশে, সেই চেষ্টায় অবিরত তিনি। যেকোনো দুর্যোগে পাশে থেকেছেন অসহায়ের। দাঁড়িয়েছেন করোনা মহামারিতে কর্মহীন মানুষ কিংবা বানভাসিদের পাশেও। রেখেছেন বিরল দৃষ্টান্ত।

 

মহামারি করোনা আপনকে করেছে পর। বাবার মরদেহ ফেলে চলে গেছে ছেলে। অসুস্থ মাকে পথে ফেলে গেছে সন্তান। কেউ কাছে আসেনি। ভয়ে। জেনেশুনে নিজের জীবন বিপন্ন করতে চায়নি কেউ। কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে সেখানে এগিয়ে গেছে পুলিশ। মৃত বাবার সৎকার করেছে নিজ হাতে। অসুস্থ মাকে নিয়েছে হাসপাতালে।

দূরে দাঁড়িয়ে স্বজনরা যখন জানাজা দেখেছে আপনজনের, পুলিশ সদস্যরা সেই মরদেহ কাঁধে নিয়েছে শেষ বিদায়ে। মহামারিকালে মানবিক এক পুলিশবাহিনীকে দেখেছে দেশের মানুষ। যার নেতৃত্বে ছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। নিজ বাহিনীসহ বিভিন্ন মহলে যিনি কর্মবীর হিসেবে খ্যাত।

 

যখন পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে আসে তখন মহামারিতে অচলাবস্থা জনজীবনে। বিশ্বজুড়ে তখন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে দিনকে দিন। প্রাণে বাঁচতে মুখোশে মুখ ঢাকা মানুষ নিজেকে নিয়েছিল গুটিয়ে। অসহায়, দুস্থ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনার মতোও কেউ ছিল না বলতে গেলে। ঠিক তখন অসহায়ের পাশে, দুস্থদের কল্যাণে পুলিশ সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মানবিক হৃদয়ের মানুষ বেনজীর আহমেদ।

 

প্রতিদিনই দায়িত্বপালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। মৃত্যুর কোলেও ঢলে পড়ছিল তাজা প্রাণ। তবু পিছপা হয়নি। পুলিশপ্রধানের নিরলস প্রচেষ্টা আর কর্মতৎপরতায় পুলিশ হয়ে উঠেছিল জনমানুষের। জনমুখী পুলিশ গড়ার যে ব্রত সামনে নিয়ে যাত্রা করেছিলেন বেনজীর আহমেদ, গত প্রায় দেড় বছরে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন সেখান থেকে।

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা ঠেকাতে কঠোর বিধিনিষেধেও পুলিশের ক্লান্তিহীন ছুটে চলা ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব ইতিহাস। অনাহারীর মুখে খাবার পৌঁছে দিতে পুলিশপ্রধানের নির্দেশনার প্রতিফলন হয়েছে শহর থেকে গ্রামে। দুর্গম জনপদের প্রান্তিক মানুষের কাছেও খাবার নিয়ে পৌঁছে গেছে পুলিশ সদস্যরা। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়েছে রাতের অন্ধকারে। অসহায় মায়ের অভুক্ত শিশুর মুখে আহার তুলে দিতে। এসব মহতি উদ্যোগে কখনো সশরীরে নিজে উপস্থিত থেকে, কখনো সংশ্লিষ্টদের দিকনির্দেশনা দিয়ে পাশে আছেন বেনজীর আহমেদ। 

 

বিধিনিষেধ চলাকালে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি থেমে ছিল না একদিনও। পুলিশপ্রধানের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অসহায়ের দুয়ারে খাবার পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। একটা সময় যখন পুলিশ ছিল সাধারণের কাছে কার্যত আতঙ্কের সেই পুলিশ এখন বন্ধু, স্বজনের চেয়েও বেশি কিছু।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর বাইরে বন্যাদুর্গতদের পাশেও ছিল পুলিশ। আইজিপি বেনজীর আহমেদের নির্দেশে বন্যাকবলিত এলাকার অসহায় মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খাদ্যসামগ্রী। কুড়িগ্রাম, শরীয়তপুর, মাদারীপুর জেলাসহ বন্যাদুর্গত এলাকায় বিতরণ করা হয়েছিল এই খাদ্যদ্রব্য ও পোশাক। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও পুলিশের বহুমাত্রিক মানবিকতা দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।

 

কেবল সাধারণ মানুষই নয়, করোনায় প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের পরিবারের পাশেও ছিলেন আইজিপি বেনজীর আহমেদ। ছিলেন চাকরি হারানো অর্থকষ্টে বিপর্যস্ত সংবাদকর্মীদের পাশেও। আর্থিক অনুদান ছাড়াও খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে পাঠিয়েছেন পাঁচশোর বেশি সাংবাদিকের কাছে। সম্মুখসারির সহযোদ্ধা গণমাধ্যমকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরল নজির রেখেছেন পুলিশপ্রধান।

 

কেবল করোনা মহামারি ঠেকানোই নয়, এই মহামারিকালে আইনশৃঙ্খলার যেন অবনতি না হয়, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন তিনি। বিধিনিষেধে দিনের পর দিন বন্ধ থাকা দোকানপাট, শপিংমল, অফিস-আদালতে সম্পদের নিরাপত্তা বিধানেও পুলিশের ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। জনশূন্য নগর কিংবা জনপদে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি কখনো। যা অতীতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সব নজির ছাড়িয়ে গেছে।

জনমুখী পুলিশ গড়ার যে ব্রত নিয়ে পথ চলছেন বেনজীর আহমেদ, তা আরও ফলপ্রসূ করতে চালু করেছেন ফেসবুকে অভিযোগ কর্নার। যার সুবাদে অসহায় মানুষও পুলিশের সেবা পাচ্ছেন। বিচার পাচ্ছেন অপরাধের। যা কখনো কল্পনাও করেনি কেউ। বিশেষ করে নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং ঠেকাতে তাঁর অসামান্য উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে। নারীদের জন্য নিরাপদ সাইবার স্পেস নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ ফেসবুক পেইজ চালু করা হয়েছে। কোনো নারী সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে তিনি সহজেই এ পেইজের মাধ্যমে প্রতিকার পাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতিটি থানায় চালু করা হয়েছে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক।  

 

আগের চেয়ে পুলিশ অনেক বেশি উন্নত হয়েছে উল্লেখ করে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বর্তমানে যিনি পুলিশপ্রধান হিসেবে আছেন তিনি খুব ডায়নামিক অফিসার। সব দিক থেকেই তিনি দক্ষ। এটা তিনি তাঁর কাজে-কর্মেই প্রমাণ করেছেন। পুলিশের নেতৃত্ব ভালো আছে বলেই পুলিশ সুনাম করছে।’

 

বিশিষ্ট এই বীরমুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘পুলিশ এখন আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে কর্মকর্তার সংখ্যা বেড়েছে। আগে যেটা ছিল না। পুলিশ অনেকটা গণমুখী হয়ে গেছে। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বারবার আহ্বান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বারবার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশকে খুবই উৎসাহিত করা হচ্ছেÑ যেন পুলিশ সেবামূলক হয়। এক্ষেত্রে পুলিশের কল্যাণের বিষয়টিও আগের চেয়ে বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এই কারণেই পুলিশ গণমুখী হয়েছে।’

 

পুলিশের সাবেক এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন,  ‘পুলিশ যুগের সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এটা যুগের চাহিদা। এই চাহিদা পূরণ করার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে। আরও যতদিন যাবে এর সুফল মানুষ পাবে। দেশ পাবে। এটা ইতিবাচক দিক বলে আমি মনে করি। পুলিশ সেভাবেই নিজেকে তৈরি করছে।’ 

 

জনকল্যাণে পুলিশের এই কার্যক্রমগুলো যেন ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকে এজন্য এগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকতায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন অপরাধ বিজ্ঞানীরা। জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছু লিজেন্ডারি অফিসার রয়েছেন, যারা অভাবনীয় কিছু কাজ করে যাচ্ছেন। কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের ব্যক্তিত্ব তৈরি করতে পেরেছেন। এগুলো এক ধরনের সুবিধা আমাদের দিচ্ছে। ভালো নেতৃত্বের সুবাদে ভালো কিছু পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান আইজিপি পুলিশের কাজে অনেক গুণগত পরিবর্তন এনেছেন এ কথা মানতেই হবে।’

 

জিয়া রহমান বলেন, ‘কাঠামো যাই হোক পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি অংশ চেষ্টা করছে বলেই এই করোনার সময়েও তাদের অগ্রণী ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্টলাইনে থেকে তারা মানুষকে সেবা দিচ্ছে। এটা প্রশংসনীয় কাজ। কারণ তারা খুব নিবেদিত হয়ে কাজটি করছে। কারণ আমরা একসময় দেখেছি বাবা-মায়ের মরদেহ রেখে ছেলে চলে গেছে। পুলিশ দাফনের কাজটা করেছে। কাজেই আমি মনে করি এটা ভালো লক্ষণ।’

 

বর্তমান পুলিশপ্রধানের চৌকস নেতৃত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে এই অপরাধ বিজ্ঞানী বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা থাকবে এই কাজগুলোকেই ভবিষ্যতের জন্য কাঠামোতে নিয়ে আসা। প্রাতিষ্ঠানিকতা দেওয়া। তা না হলে এটা স্থায়ী সুফল দিতে পারবে না। কারণ একজন চলে যাবেন আরেকজন আসবেন। এটা যদি লিখিতভাবে থাকে মূলনীতির মধ্যে তাহলে ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আর বর্তমান পুলিশপ্রধান যদি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীও সেটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’

 

২০২০ সালের ৮ এপ্রিল দেশের ৩০তম আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান ড. বেনজীর আহমেদ। ওই বছরের ১৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন তিনি। এর আগে তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বেনজীর আহমেদ যখন ঢাকার কমিশনার ছিলেন, তখন ডিএমপিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নও ঘটে অনেক। মিরপুর পিওএমএর সামগ্রিক আধুনিকায়ন, ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, রাজারবাগের প্রশাসনিক ভবন সম্প্রসারণ, আধুনিক মিডিয়া সেন্টার স্থাপন, মোবাইল কমান্ড সেন্টার, মোবাইল ওয়াচ টাওয়ার, ডগ স্কোয়াড ও আটটি নতুন থানা স্থাপন অন্যতম। প্রথম সরকারি কোনো অফিসে মিডিয়া সেন্টার স্থাপনের নজির স্থাপন করেন তিনি।

 

তাঁর এই সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনেও।

 

১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। সপ্তম বিসিএসের মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। র‌্যাবের ডিজি হিসেবে সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালনের আগে তিনি প্রায় সাড়ে চার বছর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এইচএফ)