পরীমনি ছোট ফোড়া, বিষফোড়াটা শনাক্ত করুন

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৫:১৬ | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৫:৫১

ইভান মনোয়ার

পরী সম্পর্কে কিছু লিখব না ভেবেছিলাম কিন্তু না লিখলেই নয় এখন। ‘আমি মরব আর পৃথিবী দেখবে না’-পরীমনির এই কথাটা আমাকে ভাবিয়েছে খুব আর ভাবিয়েছে মানুষজনের হিপোক্রেসি।

কোনো সংগঠনকে পরীমনির পাশে দাঁড়াতে দেখলাম না। অথচ শিল্পীসংঘ সমন জারি করেছিল যে, সবাই মডেল বা শিল্পী নন (যারা কাজ করেন না)। অথচ পরীমনির হাতে তো অনেক কাজ, পরী আগে টিভি নাটক করলেও এখন সে দেশের এক নম্বর চিত্রনায়িকা। তাহলে তো তার পাশে দাঁড়ানো দরকার ছিল সবার। ইন্ডাস্ট্রির কোন মানুষটা বা দেশের কোন বিজনেসম্যানের বাসায় মদ ও মদের বোতল নেই বলুন তো?

এদেশে কোনো সেলিব্রিটি উপরে উঠলেই তাকে টেনে নামানোটাই রেওয়াজ। হুম পরীমনি ভুল বা দোষ করতে পারে, কিন্তু ফ্যামিলির কেউ দোষ করলে তার বিরুদ্ধে অভিভাবকরা বা পরিবারের অন্য সদস্যরা একজোট হয়ে চলে যায় না।

পরীর সো কলড শুভাকাঙ্ক্ষী, ফ্যান-ফলোয়ার, বন্ধু অথবা মেইনস্ট্রিম মিডিয়া, সাংবাদিক সবাই চোখ পাল্টে তার এগেইনেস্টে চলে গেল। কি জঘন্য কথা তাদের, ফেসবুকে কি জঘন্য কমেন্ট।

সুযোগের অভাবে সৎ সেজে থাকা আর্টিস্টগণ আয়নায় শেষ কবে নিজের চেহারা দেখেছেন?  রাঘব-বোয়ালদের নিয়ে আপনাদের কথা বলতে দেখলাম না কখনো, তাই বলছি আর কি!

এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা আর্টিস্টদের জন্য কাজের পরিবেশ বা সুযোগ তৈরি করে দিতে পারিনি কখনো। শিল্পীকে শিল্পী হিসেবে তৈরি করবার প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত নই কেউ। বছরে কয়েকটা পিকনিক করা ছাড়া সংগঠনগুলোর তৎপরতা চোখে পড়ে না খুব একটা।

আঙুল ফ্র্যাকচার হলে সমস্ত হাত কেটে ফেলা বোকামি। পরীমনি ছোট ফোড়া, বিষফোড়াটা শনাক্ত করুন।

লেখক: পরিচালক

 

ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এসকেএস