সচিব সেজে তারা হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫৮ | প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৫:২২

সচিব সেজে প্রতারণা করতো তারা। এই প্রতারক চক্রটির সদস্যদের একজন আইটি সচিব, একজন সংসদ সচিবালয়ের আইটি সচিবের পিএ ও আরেকজন সাজতো জমির দালাল। এরপর জমি কেনা-বেচার ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ফটকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণির সঙ্গে একটি চক্র প্রতারণা করে আসছে। সাধারণত এই চক্রটিকে বলা হয় রয়েল চিট এজেন্সি বা (আরসিটি)।

বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের একটি দল সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটির চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন, মো. ইদ্রিস খান, মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, মো. শহিদুল ইসলাম ও জাহিদ শিকদার।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। কদমতলী থানার একটি মামলার (নম্বর-৩১, তারিখ-১৪.০৭.২১ ইং ধারা ১৭০, ৪০৬,৪২০ ৪৬৮) তদন্ত করতে গিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ এবং গাড়ি চুরি প্রতিরোধ দলের লিডার মো. শামসুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম বলেন, এই চক্রের প্রধান ইদ্রিসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রতারকরা প্রথমে জমি বেচাকেনার জন্য টার্গেট ব্যক্তির কাছে গিয়ে বলতো সচিব স্যার জমি কিনতে চান। উনার কাছে টাকা কোনো বিষয় না। সচিব স্যার তো অতকিছু জানেন না, এক কোটি টাকার জমি। আপনি ২০ লাখ টাকার বায়না করেন। এই পুরো টাকাটা আপনি লাভ করতে পারবেন।

তাদের ফাঁদে পা দিলেই তারা হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা। সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম বলেন, এভাবে তারা একটা প্রতারণার কৌশল তৈরি করে। এমনভাবে কৌশল তৈরি করে যাতে লোভে পড়ে মানুষ তাদের টাকা দিয়ে দেয়।

এই রকম শতাধিক ঘটনা তারা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তাদের প্রতারণার কৌশলটা জমি কেনাবেচা, রবি টাওয়ার নির্মাণ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের এই যুগ্ম কমিশনার বলেন, মাদারীপুরের কালকিনি থানা একটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম আমাদের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া শাহাবুদ্দিনের আপন বড় ভাই। তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। আমারা তাকে গোয়েন্দা পুলিশে একাধিকবার গ্রেপ্তার করেছি। তিনি এই প্রতারক চক্রটিকে চালায়। তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার একাধিক থানায় মামলা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এএ/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অপরাধ ও দুর্নীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অপরাধ ও দুর্নীতি এর সর্বশেষ

ডিজিটাল হুন্ডিতে ৪০০ কোটি টাকা পাচার, চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ইউটিউবে জাল টাকা তৈরি শেখা, রাজমিস্ত্রি-জেলেকে নিয়ে গড়ে তোলা হয় চক্র

দুর্নীতি মামলায় মেজর মান্নান কারাগারে

ভুয়া নিয়োগপত্রে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ

শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণ করতেন তারা

দুর্নীতির অভিযোগে রুয়েটের সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা ​​​​

যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচতে ২২ বছর ধরে তরমুজ ও ওষুধ বিক্রেতা, অতঃপর...

বিমানবন্দরে ডলার কারসাজি, ১৯ ব্যাংকারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

ধানক্ষেতে বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে ‘হত্যা’: তিন আসামি গ্রেপ্তার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :