নন-এমপিও শিক্ষকরা ভিন্ন পেশা খুঁজছেন

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৬:৫৫

আল-কারিয়া চৌধুরী, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট)

মহামারী করোনা সংক্রমণ সামাল দিতে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এই অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেলেও বঞ্চিত নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা। একারনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার প্রায় অর্ধশতাধিক কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে শিক্ষকতা ছেড়ে অনেকেই ভিন্ন পেশা খুঁজছেন।

উপজেলার এইসব শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ সময় স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। কিন্ডার গার্ডেন স্কুলগুলো মূলত শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফির টাকায় চলে। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে না পারলেও ঘরভাড়া দিতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান পরিচালকদের। এতে লোকসানের মুখে পড়ে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পথে।এই অবস্থায় সরকারি সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে জীবিকার তাগিদে শিক্ষকতার মত মহান পেশা ছেড়ে দিয়ে কেউ কেউ করছেন ব্যবসা, কৃষিকাজ আবার কেউ পারি জমিয়েছেন রাজধানীর ঢাকাসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক কিন্ডার গার্ডেন, কেজি ও ক্যাডেট স্কুল রয়েছে। আর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় কয়েক শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী আছে।

উপজেলার শালাইপুর এলাকার সু-প্রভাত প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক ইমরান হোসেন মিন্টু বলেন, ‘বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে অনার্স/মাষ্টার্স শেষে বিভিন্ন চাকরির আবেদনের পাশাপাশি এই স্কুলে শিক্ষকতা করছি। যা বেতন দেয় তা দিয়ে কোন রকমে চলে। কিন্তু করোনায় বন্ধ থাকায় সেটাও আর পাচ্ছি না। এদিকে করোনা ও অন্যদিকে চাকরীর বয়স শেষের দিকে। একারনে শিক্ষকতা ছেড়ে ভিন্ন পেশা খুঁজতেছি।’

আল-মাখদুম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফির টাকা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রদান করা হয়। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন ভাতা না দিতে পারলেও অফিসের ঘরভাড়া দিতে হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে হয়ত কিছুটা সংকট কেটে যাবে।’

(ঢাকাটাইমস/৫ আগস্ট/পিএল)