সিরাজগঞ্জে ৪ বছর পর শাহ আলম হত্যার রহস্য উদঘাটন

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৯:১৬

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চর বেলকুচি গ্রামের বেকারি দোকানের কর্মচারি শাহ আলম (৩৫) হত্যার রহস্য দীর্ঘ চার বছর সাত মাস পর উদঘাটন করেছে সিআইডি পুলিশ।

তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর তিনজন প্রেমিক। প্রেমিকার কাছে বাকি দুজনকে আসতে নিষেধ করায় পরিকল্পিতভাবে বালিশচাপা দিয়ে খুন করা হয় শাহ আলম নামে এক প্রেমিককে।

বুধবার সিরাজগঞ্জ সিআইডি কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বুধবার বিকালে এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি জুলহাস ওরফে জুলু (৫৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সিআইডি।   

সিরাজগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি বেলকুচি উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলে ছনের ভেতর থেকে দোকান কর্মচারি শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।’

শাহ আলম উপজেলার বওড়া গ্রামের মৃত জামাল মোল্লার ছেলে। ওইদিন নিহতের স্ত্রী মোছা. শিরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরবর্তীতে ক্লু-লেস এ মামলাটি সিআইডিকে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সিআইডি তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তদন্ত কার্যক্রম চালায়। গত মঙ্গলবার এ মামলার অন্যতম আসামি জুলহাস ওরফে জুলুকে কামারখন্দ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার সব রহস্য উন্মোচিত হয়। বুধবার জুলহাস ওরফে জুলু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। 

আদালতে জুলহাস ওরফে জুলুর দেয়া জবানবন্দির নথিতে জানা যায়, বওড়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্তা নারী কাকলির সঙ্গে শাহ আলম ও জুলহাসসহ তিনজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিষয়টি শাহ আলম জানতে পেরে প্রেমিকাকে গালিগালাজ করেন এবং বাকি প্রেমিকদের আসতে বারণ করেন। এতে জুলহাস ও তাদের প্রেমিকাসহ তিনজনই ক্ষুব্দ হয়ে শাহ আলমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

একপর্যায়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে শাহ আলম কাকলির সঙ্গে দেখা করতে এসে তার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সুযোগে কাকলি ও তার দুই প্রেমিক বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের উদ্দেশে দুর্গম যমুনা নদীর চরের ছনের ভেতরে ফেলে দেয়। হত্যার রহস্য দীর্ঘ চার বছর সাত মাস পর উদঘাটন করে সিআইডি পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/এসএ/কেএম)