শিক্ষকের ঘুম ভাঙানোয় ১০ শিক্ষার্থীকে নির্মম বেত্রাঘাত

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২১, ২০:২৭ | প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট ২০২১, ২০:২৫

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের ‘কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসা’র শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০ শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করে গুরুতর জখম করায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে এলাকাবাসী শনিবার রাতে অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন।

করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে.এ খান হাফেজী মাদ্রাসা চালু রেখে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন মাদ্রাসাটির একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ।

শনিবার বিকাল ৩টার দিকে শিশু-কিশোর বয়সী শিক্ষার্থীরা দুষ্টুমি করছিল। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহর ঘুম ভেঙে যায়। তাই তিনি ক্ষেপে গিয়ে কক্ষের দরজা আটকে ১৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জনকে বেদম প্রহার করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে সব শিক্ষার্থীকে কক্ষের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষক।

মারধরের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সব শিক্ষার্থীকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। মাগরিবের নামাজের সময় পেছন থেকে সুকৌশলে নলছিটি উপজেলার বারৈকরন গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রহিমের ছেলে মো. সিয়াম (৯) পালিয়ে কাঁদতে কাঁদতে পোনাবালিয়া বাজারে গেলে এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. মোরশেদ খানকে ঘটনাটি জানিয়ে দ্রুত সব শিক্ষার্থীকে বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

অন্যদিকে পোনাবালিয়া বাজারের অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি মাদ্রাসা ঘেরাও করে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে এবং গুরুতর জখম হওয়া চার শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম (১০), মোহাম্মদ সিয়াম (৯), মো. আমিনুল (৯) এবং একই গ্রামের মো. ইয়াছিনকে (১৪) উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত শিশু সিয়ামকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত অন্য শিক্ষার্থীরা যে যার বাড়িতে চলে যায়।

খবর পেয়ে রাতেই ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহকে আটক করে নিয়ে আসেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। শিক্ষার্থী পেটানো এবং সরকারের নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।’

(ঢাকাটাইমস/৮আগস্ট/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :