ভোলায় মাল্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে
বিদেশ থেকে আমদানি করা হলুদ মাল্টার তুলনায় বেশি মিষ্টি, চাষাবাদের খরচও কম। আবার চাহিদার মতো উৎপাদনও বেশি। যে কারণে ভোলায় দিন দিন বেড়েই চলছে মাল্টার আবাদ। জেলার বেকার যুবকদের অনেকেই মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন। অনেকের ভাগ্যও বদলে গেছে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করে।
ভোলার কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে কৃষি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বপ্রথম মাল্টার আবাদ শুরু হয়। শুরুতে সল্প জমিতে দুই-একজন কৃষক মাল্টার আবাদ করলেও বর্তমানে সেটি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হেক্টরে। সদর উপজেলার সবুজ বাংলা কৃষি খামারের মালিক ইয়ানুর রহমান বিপ্লব জানান, তিনি ২০১৬ সাল থেকেই তার খামারে মাল্টার আবাদ শুরু করেন। এই জাতের মাল্টার রঙ সবুজ হওয়ায় শুরুতে স্থানীয় বাজারে তেমন চাহিদা ছিল না। তবে বর্তমানে এর চাহিদা ব্যাপক। এখন বিশ শতাংশ জমিতে প্রায় ২০০টি মাল্টার চারা লাগিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে মাল্টা চাষ করা হয়ে থাকে। তার খামারের প্রতিটি গাছেই মাল্টার ভালো ফলন হয়েছে। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় শুরুতে কিছু মাল্টা ঝড়ে যায়।
এই মাল্টা চাষি জানান, মাল্টা অধিকাংশ ক্রেতারাই বাগান থেকে এসে কিনে নিয়ে যায়। আবার অনেকে মোবাইল ও অনলাইনে অর্ডার করে।
ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে জেলায় প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে মাল্টার আবাদ হচ্ছে। এবছর গাছে যে পরিমাণ মাল্টা ধরেছে এতে করে ১৫ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ১৫ মেট্রিকটন মাল্টা আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলায় মাল্টার আবাদ আরও বাড়াতে কৃষি বিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/৯ আগস্ট/পিএল)