গৃহবধূ হত্যার দায় স্বীকার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০২১, ২০:৩০

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মিতু আক্তারকে হত্যার পর লাশ গুম করার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্যারেজ মালিক আবুল হোসেন (৩২)।

বৃহস্পতিবার বিকালে তিন দিনের রিমান্ডে শেষে আদালতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সে সময় নারায়ণগঞ্জ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আহাম্মেদ হুমায়ূন কবীর এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট পুলিশের এএসআই মো. মনির হোসেন।

এর আগে, গত (৯ আগস্ট) বন্দর নবীগঞ্জ এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে। নিহত মিতুর স্বামী রবিনের বাবার জায়গা ভাড়া নিয়ে একটি গ্যারেজ দিয়েছেন। আবুল হোসেনকে ওই দিনই আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জবানবন্দিতে তিনি জানান- গত ১২ জুলাই রাতে মিতুর স্বামী রবিন আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। তখন পর্যন্ত আমি এ হত্যার বিষয়ে কিছুই জানতাম না। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মিতুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই। ঠিক সে মুহূর্তে রবিন ও তার ভাড়াটে গুন্ডা রাজিব, ওয়াশিম ও আরিফ আমাকে ভ্যান নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতে বলে। আমি ভয় আমার গ্যারেজ থেকে একটি ভ্যান ও একটি ড্রাম নিয়ে আসি। প্রথমেই মিতুর নিথর দেহ ড্রামে ভেতরে ঢুকানো হলে মাঝপথে ড্রামটি ফেটে যায়। পরে ফের তোষক পেঁচিয়ে নবীগঞ্জ বাগবাড়ির একটি পরিত্যক্ত জলাশয়ে লাশটি ফেলে আসা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুলাই রাতে বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি আরিফ, ওয়াশিম, আবুল ও রাজিবের মাধ্যমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মিতুকে হত্যা করেন তারই স্বামী রুহুল আমিন ওরফে রবিন। গুম করার উদ্দেশ্যে তারা সেদিন রাতেই তোষক পেঁচিয়ে নবীগঞ্জ বাগবাড়িস্থ একটি পরিত্যাগ ডোবায় লাশটি ফেলে আসে।

তিন দিন পর স্থানীদের সূত্র ধরে ১৫ জুলাই ওই জায়গা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে বন্দর থানা হত্যা মামলা করা হলে ১৬ জুলাই সকালেই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল খায়েরের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ এলাকার নিজ বাড়ি হতে মৃত হাজী ফজল করিমের ছেলে ওয়াশিম (৩৫), চৌরাপাড়া এলাকার মহারাজ মিয়ার ছেলে রাজিব (৩৫), তিনগাঁও এলাকার আওলাদ মিয়ার ছেলে আরিফ (৪০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেও আদালতে জবানবন্দি দেয়নি। পরে তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী ভুক্তভোগী মিতুর স্বামী রবিনকে গত ৯ আগস্ট সুদূর মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার একটি এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :