শোক দিবসে বিএসএমএমইউয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ আমরা কোনো দিন শোধ করতে পারবো না, তবে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে অপরের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারলে বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে শান্তি দেওয়া সম্ভব।

রবিবার জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সকালে বিএসএমএমইউর বি-ব্লকে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন উপাচার্য।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতীয় শোককে শক্তিতে পরিণত করে নিজ নিজ কর্মস্থলে বেশি কাজ করার মাধ্যমে মানুষকে আরও বেশি সেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি কুচক্রি মহলসহ দেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিষয়ে আমাদেরকে সর্বদাই সতর্ক থাকতে হবে, এ বিষয়ে জনগণকে আরও সচেতন করতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে বিএসএমএমইউর বি-ব্লকের সামনে গোলচক্করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করা হয় এবং কালো পাতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় শোক দিবসে সকলে কালোব্যাচ ধারণ করেন। সকাল নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের বহির্বিভাগে বিনামূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাসেবা প্রদানের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য।

সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবাও বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এসব সেবার মধ্যে রয়েছেÑ ইউরিন আর/এম/ ই, সিভিসি, পিবিএফ, ইউরিন ফর সি/এস, আরবিএস, এস. ক্রিয়েটিনিন, ব্লাড গ্রুপিং, এইচবিএসএজি, এন্টি-এইচসিভিসি, এক্সরে চেস্ট।

এদিকে রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলের সামনে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের তত্ত্বাবধানে রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোডস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এবং ১১টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যের স্মৃতির প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণসহ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত করা হয়। এছাড়া বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও তবারক বিতরণ করা হয় এবং বাদ ফজর থেকে জোহর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতম করা হয়।

এসব কর্মসূচিতে বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ছয়েফ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ডেন্টাল অনুষদের ডিন মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন শাহীন আকতার, নার্সিং অনুষদের ডিন মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, গ্রন্থাগারিক হারিসুল হক, হল প্রভোস্ট এসএম মোস্তফা জামান, হাসপাতাল শাখার পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সুভাষ কান্তি দে, সহকারী প্রক্টর ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ডু, সহকারী প্রক্টর সহকারী ফারুক হোসেন, হাসপাতাল শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নাজমুল করিম মানিক, হাসপাতাল শাখার উপ-পরিচালক ডা. মো. খোরশেদ আলম, উপ-রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সহকারী অধ্যাপক রসুল আমিন শিপন, কার্ডিওলজি বিভাগে সহাকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়াদার টিটো, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন, হাসপাতাল শাখার সহকারী পরিচালক পবিত্র কুমার দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় শোক দিবসের দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালের (ইনডোর), ফিভার ক্লিনিক, পিসিআর ল্যাব ও জরুরি বিভাগ প্রচলিত নিয়মে খোলা ছিল। এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা কনভেনশন সেন্টারে স্থাপিত ফিল্ড হাসপাতালের কার্যক্রম ও যথারীতি চলছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, অফিস ও বৈকালিক স্পেশালাইজড কনসালটেশন সার্ভিস বন্ধ ছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৫আগস্ট/এএ/জেবি)