দাম্পত্য কলহ: গৃহকর্তার বিরুদ্ধে সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল দীর্ঘদিন। এরই মধ্যে ১৩ বছর বয়সী মেয়ে সন্তানকে তার বাবা ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শিশুটির মা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে ধর্ষণের ঘটনা সত্য নাকি সাজানো।
সোমবার রাতে গৃহবধূর করা অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীকে সন্তান ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার ১ নম্বর মানিকছড়ি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গচ্ছাবিল চৌধুরী পাড়া এলাকার এক গৃহকর্তার দ্বিতীয় স্ত্রী তিন সন্তানের মা। বড় মেয়ে গচ্ছাবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। এরই মধ্যে স্বামীর বিরুদ্ধে তার নিজ শিশু সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন শিশুটির মা।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২১ ও ২৮ জুলাই এবং ১০ ও ১৪ আগস্ট অভিযুক্ত গৃহকর্তা তার বসত ঘরে স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে নিজ মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চারবার ধর্ষণ করেন। পরে ওই শিশু ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে খুলে বলে। ফলে সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে প্রথমে ১ নম্বর মানিকছড়ি ইউপি সদস্য মো. মোশারফ হোসেন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালামকে জানান। তারা অভিযুক্ত গৃহকর্তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়ে রাতে গৃহকর্তাকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মানিকছড়ি থানায় মামলা করেন তার স্ত্রী।
অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনূর আলম বলেন, ‘গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/কেএম)