কাপাসিয়ায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার দাবি
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গভীর রাতে ৮ম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভা করেছে গ্রামবাসী।
এ সময় বক্তব্য দেন- মামুন মিয়া, শামসুদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, রেহেনা খাতুন, শামসুন নাহার, ফাতেমা বেগম, আলপনা খাতুন, বকুলা বেগম, সোহাগ, মানিক, ফিরোজা বেগম, আতাব উদ্দিন সবুজ, জরিনা, মুক্তা, তুহিন, সুলতানা বেগম প্রমুখ।
ভিকটিমের পরিবার জানান, মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা মামলা তুলে নেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার টোক ইউনিয়নের নয়াসাঙ্গুন এলাকার রফিকুলের পানের বরজের পাশে রাস্তায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা থানায় মামলা করেন।
ভিকটিমের দাদি জহুরা জানান, আমি আমার নাতনিকে নিয়ে টিনের ঘরে থাকি। শুক্রবার রাতে দুজন এক সাথে ঘুমিয়ে ছিলাম। এইদিন রাত ২টার দিকে টিনের বেড়া কেটে দরজা খোলে তিনজন লোক ঘরে এসে আমার গলায়, মাথার উপড়ে ছুরি ধরে। চিৎকার করলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
মেয়ের বাবা বলেন, তাকে নাকি ধর্ষণ করেছে এবং সে কাউকেই চিনতে পারেনি। তবে যারা ধর্ষণ করেছে, তার পরনে শার্ট ও লুঙ্গি পড়া ছিল। তবে আমার সন্দেহ প্রতিবেশী কাদির মাস্টারের ছেলে মোক্তার তার সহযোগীদের দিয়ে এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। সে ছাড়া আমার কোন শত্রু নেই। তাকে ছাড়া কেউ করবে না এমন কাজ।
কাপাসিয়া থানার ওসি আলম চাঁদ জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মাদ্রাসাছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে বের করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ শুরু করেছে।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এলএ)