গাজীপুরে কিলঘুষিতে পোশাকশ্রমিক নিহতের অভিযোগ
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকায় ছেলে হত্যার বিচার দাবি করায় কথা কাটাকাটির জের ধরে সালিশের বিচারক ও প্রতিপক্ষের হামলায় আসাদুল ইসলাম নামে এক পোশাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত আসাদুল ইসলাম গোবিন্দগঞ্জ থানার গাইবান্ধা জেলার গোলাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি কয়েক বছর ধরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বাহাদুরপুর এলাকায় ফিরোজ মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, গত ৩ আগস্ট পোশাকশ্রমিক আসাদুলের ছেলে সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুইদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিচার দাবি করেন তিনি।
আসাদুলের দাবি, তার ছেলেকে নৌকা থেকে ফেলে দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এজন্য বিচারের দাবি জানিয়ে তিনি স্থানীয় কয়েকজন সমাজপতিদের কাছে ধর্ণা দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে বিচার চাইতে গেলে ওই গ্রাম্য বিচারক ও প্রতিপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি হয় আসাদুলের। একপর্যায়ে বিচারক ও প্রতিপক্ষরা তার শরীরে লাথি, কিলঘুষি মারলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আসাদুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিচার করার নামে পরিকল্পিতভাবে আসাদুলকে হত্যা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান তারা।
জিএমপির সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রাম্য বিচারক ও প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে শ্রমিক আসাদুল মারা গেছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৮আগস্ট/এলএ)