প্রচণ্ড ঘামে বিরক্ত লাগে? রইল সমাধান

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২১, ১১:৫৬ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২১, ১২:৩৬

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

এমন অনেকে আছেন, প্রচণ্ড রোদ বা গরমেও যাদের শরীর থেকে একবিন্দু ঘাম বের হয় না। আবার এমন অনেকে আছেন, একটু গরমেই ঘেমে নেয়ে যান। কখনো বেজায় গরম, কখনো বা ভ্যাপসা আবহাওয়ায় ঘামটা তাদের কাছে বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।

তবে ঘাম হওয়া কিন্তু খারাপ নয়, বরং শরীরের পক্ষে ভালো। শরীরের বর্জ্য ঘামের সঙ্গে বের হয়ে যায়। বিশেষ করে তাপমাত্রা বাড়লে একটু ঘাম হওয়া খারাপ কিছু নয়। কিন্তু খুব বেশি ঘামলে সেটা অস্বস্তিকর হতেই পারে। তবে সেই ঘাম নিয়ন্ত্রণের উপায়ও আছে। চলুন জেনে আসি, কী সেই উপায়গুলো।   

ডিওড্র্যান্ট

পছন্দের সুগন্ধি কয়েকদিনের জন্য তুলে রাখুন। ব্যবহার করুন ডিওড্র্যান্ট। অনেকের শরীরে কিছু কিছু ডিওড্র্যান্ট সহ্য হয় না। ত্বক জ্বালা করে। তাই পরখ করে নিয়ে তবেই কিনবেন। যদিও এখন সকলে অনলাইনেই যাবতীয় জিনিস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে নতুন কোনো ডিও নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে, যাতে আপনি অভ্যস্ত, তাই ব্যবহার করুন। রোল-অন ডিও কিনতে পারেন। এগুলো দারুণ কাজ করে।

ট্যালকম পাউডার

ঘাম নিয়মন্ত্রণ করার সহজ উপায় ট্যালকম পাউডার লাগানো। পকেটেও খুব বেশি টান পড়ে না। গোসল করে উঠে গায়ে লাগাতে পারেন। এতে ঘামের দুর্গন্ধ কম হবে।

শাওয়ার জেল

প্যারাবেন বা অন্য কোনো ক্ষতিকর রসায়ন নেই, এমন শাওয়ার জেল ব্যবহার করুন। সাধারণ সাবানের তুলনায় এর সুগন্ধ আরও বেশি সময় গায়ে থাকে। শরীরে ঘামও তুলনামূলকভাবে কম হয়।

ডায়েট

কী খাচ্ছেন সেটা খেয়াল রাখাও প্রয়োজন। অনেক ধরনের খাবার হজম হতে দেরি হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই স্যালাড বা হালকা খাবারই এই সময় খাওয়া ভালো। ঘামের দুর্গন্ধ অনেক সময় খাবার থেকেই হয়। ক্যাফিনও হাত-পা ঘামিয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থেকে মুক্তি চাইলে বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।

হালকা সুতির পোশাক

এই সময়ে হালকা সুতির পোশাকের বিকল্প হয় না। সুতি, লিনেন, মখমলের মতো হালকা কাপড়ের পোশাক পরুন যাতে শরীরে সহজেই হাওয়া-বাতাস খেলতে পারে এবং ঘাম কম হয়। গায়ের সঙ্গে আঁটা পোশাক একদম চলবে না।

ঢাকাটাইমস/২০আগস্ট/এএইচ