কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২১, ১৭:৪২ | প্রকাশিত : ২২ আগস্ট ২০২১, ১৭:২৭

ফারাক্কা থেকে নেমে আসা ঢল ও গঙ্গা-পদ্মার শাখা প্রশাখায় পানি বাড়ায় প্লাবিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট, শিলাইদহ ও গড়াই নদীর রেলসেতু পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

রবিবার সকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্তৃপক্ষ জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির এই ধারা আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে রয়েছে। এদিকে পদ্মা-গড়াইয়ে পানি বাড়ার কারণে ইতোমধ্যেই জেলার নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকার কৃষিজমি এবং লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে নদীর পাড় ভাঙন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী কুষ্টিয়ার দপ্তরে প্রেরিত সতর্কবার্তায় জেলার নদী ভাঙনপ্রবণ ২৫টি স্পটকে সনাক্ত করে সেখানে জরুরি সতর্কদৃষ্টি রাখার নির্দেশনাসহ আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান পাউবো কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিন।

তবে আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার যথেষ্ট সক্ষমতা তাদের নেই বলেও জানান এই প্রকৌশলী।

রবিবার দুপুরে জেলার ছয়টি উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সবকয়টি উপজেলাতেই নিম্নাঞ্চলের কৃষিজমি ও বসতবাড়ী প্লাবিত হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও নদীর পাড় নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সেখানে সাধ্যমতো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দাবি উপজেলা প্রশাসনের।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে ক্ষতি হওয়া ১৪টি স্থানে ভাঙন ঠেকাতে বালিভর্তি জিও ব্যাগে ফেলানো হয়েছে।

এছাড়াও স্যাটেলাইট (সিজিআইএস) হতে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী নদী ভাঙনের অধিক ঝুকিপূর্ন স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে হেলালপুর, উসমানপুর, আবেদের ঘাট, কুলদিয়া, ভুড়কা, পুরাতন কুষ্টিয়া, শিমুলিয়া, কমলকান্তি, গনেশপুর, তেবাড়িয়া, এনায়েতপুর, লালপুরসহ প্রায় ২৫টি স্থানকে। গড়াই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শেখ রাসেল কুষ্টিয়া হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঠেকাতে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে যে পরিমাণ ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ব্যাগ সরবরাহের চরম ঘাটতি রয়েছে। সে কারণে কাজের গতিও কাঙ্খিত মাত্রায় হচ্ছে না। বলতে পারেন টাকা দিয়েও চাহিদা মতো জিও ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে ঠিকাদার হবিবর রহমানের অভিযোগ, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার হওয়ায় তাৎক্ষণিক এসব জরুরি কাজের বোঝা আমাদের ঘাড়েই চাপানো হয়। আমরাও করি। কিন্তু সমস্যা হলো প্রতি বছরই এ ধরণের কমবেশি জরুরি কাজ করে দিই ঠিকই, কিন্তু এসবের বিল পাইতে আমাদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। কবে এ কাজের বিল পাবো তা বলা মুশকিল।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হামিদ বলেন, পদ্মা-গড়াইয়ের সবকয়টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিশেষ নজর রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই সমস্যা সৃষ্টি হবে গুরুত্ব বিবেচনায় সেখানেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে জরুরি কাজের পরিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন সোর্সকে কাজে লাগিয়ে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি।

(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :