বেড়েই চলছে যমুনার পানি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২১, ১২:২৭

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েই চলছে যমুনার পানি। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নদীপাড়ের হাজারো মানুষ। বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নদীর পাড় থেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা। এরই মধ্যে অনেক গোচারণ ভূমিও তলিয়ে গেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে, কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের (পানি পরিমাপক) ওমর ফারুক জানান, যমুনা নদীর পানি মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে শাহজাদপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ গো-চারণভূমি ও সবুজ ঘাস। ফলে দুই লক্ষাধিক গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। পানি বেড়ে যাওয়ায় বাড়িতে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে গবাদি পশু। এতে নানা রোগ দেখা দিয়েছে।

জেলার কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগর ও খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন এবং চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা। নদীর পাড় থেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।

নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, এই ইউনিয়নে ব্যাপক আকারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি ও বৈদ্যুতিক খুঁটি।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়া বলেন, যমুনার পানি বেড়ে চরাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, তলিয়ে যাচ্ছে গোচারণ ভূমি। পানিবন্দি হতে শুরু করেছে চরাঞ্চলের মানুষ।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর পানি আরও দু-একদিন বাড়তে পারে। এ সময়ের মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রমও করতে পারে।

তবে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, যমুনা নদীতে পানি বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়ত খোঁজ-খবর রাখছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো বিতরণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :