পু‌লি‌শের কেউ অপরা‌ধে জড়া‌লে দায় বা‌হি‌নীর নয়

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২১, ২০:৫৮ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২১, ২২:০৯

এ কে এম শহীদুল হক

মা ও ছেলেকে অপহরণের ঘটনায় দিনাজপুরে পুলিশের একজন এএসপিসহ বাহিনীর পাঁচ সদস্যের গ্রেপ্তারের ঘটনা দুঃখজনক। পুলিশের কোনো সদস্যের কাছ থেকে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রত্যাশিত নয়। বাহিনীর সাবেক প্রধান হিসেবে মনে করি সঠিকভাবে তদারকি হলে পুলিশের অপরাধ প্রবণতায় জড়ানো কমবে।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রাম থেকে মা ও ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে করা মামলায় এক সহকারী পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন পুলিশ বাহিনীর সদস্য।

ঘটনাটি আমি টেলিভিশনের সংবাদে দেখেছি। এটি খুব দুঃখজনক। তবে পুলিশের কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধে জড়িত হয় তাহলে সেই দায় সমগ্র পুলিশ বাহিনীর নয়। 

কিন্তু কেন একজন পুলিশ সদস্য এমন অপরাধে জড়িত হচ্ছে সেটা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকি করা দরকার। পুলিশ সদরদপ্তরের দায়িত্ব কর্মকর্তাদের তদারকি করা।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একজন পুলিশ সদস্য কীভাবে চলছেন, কার সঙ্গে মিশছেন, তার আচার-আচারণ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করবেন। এর বাইরেও পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে কী আচারণ করছেন সেটা মনিটরিং করা দরকার।

জেলার একজন পুলিশ সুপার তার ইউনিটের অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য মনে করবেন। তিনি তাদের আচার-আচারণ মনিটরিং করবেন। মাঝে-মধ্যে থানা, পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শনে যাবেন। এভাবে করলে পুলিশ সদস্যদের অপরাধে জড়ানোর প্রবণতা কমে যাবে।

আমি টিভিতে দেখলাম রংপুর যে ছেলেটা আটক হয়েছে সারোয়ার কবির, সে একেবারে ইয়াং। বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশের যোগদান করেছে। তার তো নিজের চাকরি এবং ভবিষ্যতের কথা ভাবার দরকার ছিল। কিন্তু সে তা ভাবেনি। ডিপার্টমেন্টাল কর্মকর্তা এবং বিসিএস কর্মকর্তাদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য রয়েছে। সে যা করেছে তা একজন ডিপার্টমেন্টাল কর্মকর্তাও করার সাহস পাবে না। 

অনুলিখন: আশিক আহমেদ

লেখক: সাবেক আইজিপি, বাংলাদেশ পুলিশ