আইনজীবী তালিকাভুক্তির ভাইভা শুরু ৩১ আগস্ট

প্রকাশ | ২৫ আগস্ট ২০২১, ২১:১৬ | আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২১, ২১:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাডভোকেটশিপ তালিকাভুক্তিকরণের স্থগিতকৃত মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ৩১ আগস্ট থেকে।

বুধবার সন্ধ্যায় বার কাউন্সিলের হিউম্যান রাইডস অ্যান্ড লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাদল বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ভাইভা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তবে কয়টি ভাগে এই পরীক্ষা নেয়া হবে সেটি জানাতে পারেননি তিনি।

মোখলেছুর রহমান বাদল বলেন, বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কাজেই তারাই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবে।

এবারের লিখিত পরীক্ষায় ১৩ হাজারের মতো শিক্ষানবিশ আইনজীবী অংশ নেন। কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার কারণে লিখিত পরীক্ষা দুইবার পেছায়।

২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় নয়টি কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলো হলো রাজধানীর আজিমপুর গভমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মোহাম্মাপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, সেন্ট্রাল ইউমেন্স কলেজ, বিসিএসআইআর হাইস্কুল, গভর্মেন্ট মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।

এর মধ্যে মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে বাতিল পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।

নয়টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। এদের মধ্যে পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিনের অজুহাতে কিছু শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নেন। এরমধ্যে এমসিকিউতে উত্তীর্ণ হন মাত্র আট হাজার ৭৬৪ জন। এছাড়া ২০১৭ সালে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া তিন হাজার ৫৯০ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৭৮ জন শিক্ষার্থী এবারের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বার কাউন্সিল। কিন্তু করোনার কারণে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তাই করোনার সংক্রমণের মধ্যে পূর্বের নোটিশ অনুসারে পরীক্ষা নিতে পারেনি বার কাউন্সিল। পরে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এআইএম/জেবি)