ভোলায় মেঘনার ভাঙন আতঙ্ক
ভোলার মেঘনা নদীতে উজানের পানির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় চার কিলোমিটার এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে গত কয়েকদিনের ভাঙনে বিলীন হয়েছে বহু ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি ও মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর।
এদিকে ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে ওই এলাকায় বালুভর্তি জিও টিউব ফেলার কাজ শুরু করেছে। কয়েক বছর আগে ভোলার ইলিশা জংশন এলাকায় ব্লক বাঁধের মাধ্যমে মেঘনার ভাঙন রোধ করা হয়।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খাল এলাকায় মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহে ভাঙনে ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ফলে বহু পরিবার গৃহহীন হয়েছে। ভাঙনকবলিত পরিবারগুলো ঘরবাড়িসহ শেষ সম্বলটুকু সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। গৃহহীন পরিবারগুলো বেড়িবাঁধ ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
স্থানীয়রা ভাঙনকবলিত এলাকায় দ্রুত সিসি ব্লক ফেলে স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের দাবি জানিয়েছেন।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক বাবুল আকতার জানান, ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও টিউব দিয়ে ডাম্পিং করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ভাঙনকবলিত এলাকা রক্ষায় ইতোমধ্যে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন হলে ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষা পাবে।
ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানান, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/এসএ/কেএম)